আজ সারাদেশে পৌরসভা নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে চার জেলায় সাত মেয়র প্রার্থীর ভোট বর্জন

আজ সারাদেশে পৌরসভা নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে চার জেলায় সাত মেয়র প্রার্থীর ভোট বর্জন।

সুপ্রভাত বগুড়া (জাতীয়): সবচেয়ে বেশি অভিযোগ হচ্ছে ‘পোলিং এজেন্টদের ভয় দেখানো’ ও ‘ভোটকেন্দ্রে আসতে নিষেধ করা’ নিয়ে। অভিযোগের তির মূলত ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের দিকে। তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় নির্বাচনে আজ শনিবার সকাল আটটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণায় বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ–সংঘাত হয়েছিল দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনের আগেও। ১৬ জানুয়ারি ওই নির্বাচনের দিনও বিভিন্ন জায়গায় সংঘাত হয়েছে, সিরাজগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থী।

এরপর গত বুধবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও সহিংসতায় দুজন নিহত হন। এসব ঘটনা শঙ্কা বাড়িয়েছে। নির্বাচন ঘিরে বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নানা অভিযোগও রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ হচ্ছে ‘পোলিং এজেন্টদের ভয় দেখানো’ ও ‘ভোটকেন্দ্রে আসতে নিষেধ করা’।

Pop Ads

এসব অভিযোগের তির মূলত ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর দিকে। পুলিশের দিকেও আঙুল উঠেছে কোথাও কোথাও। ‘সম্ভাব্য পোলিং এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখানো অব্যাহত থাকার’ অভিযোগ তুলে নির্বাচনের এক দিন আগেই মৌলভীবাজার পৌরসভার বিএনপির মেয়র প্রার্থী অলিউর রহমান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গতকাল শুক্রবার মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের প্রধান সমন্বয়ক জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফয়জুল করিম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম প্রমুখ। মেয়র প্রার্থী অলিউর রহমান তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২৭ জানুয়ারি সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থকদের তাণ্ডবের বিষয় প্রশাসনকে অবহিত করেছিলেন।

এ বিষয়ে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় তাঁর সমর্থক ও কর্মীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকা এবং তাঁর সম্ভাব্য পোলিং এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখানো অব্যাহত থাকায় ৩০ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে তিনি সরে দাঁড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এই প্রহসনের নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকারদলীয় প্রার্থীকে বৈধতা প্রদান করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছেও নেই তাঁর ও তাঁর দলের। যশোরের মনিরামপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের তালিকা ধরে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকজন ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ বিএনপির প্রার্থী শহীদ মো. ইকবাল হোসেনের।

তিনি বলেন, ‘পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী মাহমুদুল হাসান বাইরে থেকে মোটরসাইকেলে করে লোকজন এনেছেন। তারা বিএনপির কর্মী–সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। তাদের স্লোগান হলো, “ভোটকেন্দ্রে যাবি না, পিঠের চামড়া থাকবে না”।’ বিএনপি নেতা ইকবাল বলেন, ‘১২টি কেন্দ্রের ৬৯টি বুথের জন্য বিএনপির ১০০ জন পোলিং এজেন্টের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।

কিন্তু আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাঁদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছেন। এমনকি পুলিশও এ পর্যন্ত পাঁচ–ছয়জন পোলিং এজেন্টের বাড়িতে গেছে। যে কারণে বিএনপির সবাই আতঙ্কে ভুগছেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’ সূত্র: প্রথম আলো