আত্রাইয়ের একটি ব্রীজের অভাবে থমকে গেছে রায়পুর বাসীর জীবন যাত্রার মান

আত্রাইয়ের একটি ব্রীজের অভাবে থমকে গেছে রায়পুর বাসীর জীবন যাত্রার মান। ছবি-আবু হেনা

সুপ্রভাত বগুড়া (আবুহেনা আত্রাই (নওগাঁ) : নওগাঁর আত্রাই উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পূর্বদিকে মিনিট পনেরো পথ হেঁটে গেলেই মদন ডাংগা পাড়া. নদী পাড় হলেই ডাংগাপাড়া. মন্ডলপাড়া. রায়পুর গ্রাম। খানিকটা দুরে হলেও গ্রামের মাঝদিয়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদী আর এই নদীই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় সাধারণ মানুষের যাতায়াত সহ কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে।

কথায় বলে একনদী পাড় এক কোশ সমান। আর এই কথায় যেন বাস্তবে পরিণিত হয়েছে রায়পুর বাসীর কাছে।এই নদীর উপর ব্রীজ না থাকায় তিন যুগের বেশী সময় ধরে নিজ উদ্যোগে ঝুঁকিনিয়ে নৌকাতে পারাপার হতে হয় স্থানীয় গ্রামের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ সহ কোমল মতি বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের।

Pop Ads

এছাড়াও কোন মহিলার প্রসব বেদনা অথবা মূমুর্ষ রোগী হাসপাতালে নিতে হলে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়. পোহাতে হয় সীমাহীন দূর্ভোগ। আর এই সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয়দের একদম নিরুপায় হয়ে.বর্ষা কলে যা ভয়াবহ রুপধারন করে স্থানীয় জনজীবনে, চারিদিকে ভরা পানি তাদের আর্তনাদের চিৎকার যেন পানির সাথেই মিশেযায়, যেন পৃথিবীর সবচেয়ে অবহেলিত গ্রামে বসবাস তাদের।

স্থানীয় গ্রামের কৃষকেরা ধান আলু খিরা সহ বিভিন্ন সবজি প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন করে থাকেন। স্থানীয় কুমারেরা তৈরী করেন হাড়ি পাতিল কলস সহ বিভিন্ন রকম মাটির আসবাবপত্র।কিন্তু নিজেদের উৎপাদিত তৈরী পন্য বাজারজাত করতে হলে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায় যোগাযোগ ব্যাবস্থা অত্যন্ত নাজুক হওয়ায় সময় মতো পন্য বাজারে নিয়ে যেতে না পাড়ায় গুনতে হয় মাসূল বনঞ্চিত হতে হয় ন্যায্যমুল্য হতে।

এলাকাবাসীর দাবী এ যায়গায় একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হোক। স্বাধীনতার আটচল্লিশটি বছর পার হয়েছে,ক্ষমতার পালা বদল হয়েছে বেশ কয়েকবার, উন্নয়ন হয়েছে আশেপাশের আনেক রাস্তাঘাট,এমপি মন্ত্রী যারাই এখানে এসেছেন দুর্ভোগের কথা শুনেছেন দিয়েছেন আশ্বাস। আর এই আশ্বাস নিয়েই কাটছে যুগের পর যুগ অমানবিক দুর্দশার জীবন যাত্রা এগিয়ে আসেনি কেউ, এভাবেই দুঃখ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।

তারা মনে প্রানে বিশ্বাস করে এবিষয়ে সংশ্লীষ্ট কতৃপক্ষ চাইলে এই ব্রীজ নির্মাণ অসম্ভব কিছুই নয়, প্রয়োজন তাদের সু দৃষ্টি। এবিষয়ে কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাজমুল হক নাদিম বলেন ওই ব্রীজটি নির্মান ওই এলাকার মানুষের প্রাণের দাবীতে পরিনত হয়েছে।ওই স্থানে ব্রীজ হলে রায়পুর গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত ব্যাবস্থার যে দূরভোগ তা লাঘব হবে।

এবিষয়ে আমি এমপি মহোদয়ের সাথে আলাপ করেছি তিনি আশাব্যঞ্জক উত্তর জানিয়ে বলেছেন রায়পুর গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের কথা ভেবে ব্রীজ নির্মানের বিষয়টি সর্বোচ্চ বিবেচনায় রাখা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ বেলাল হোসেন বলেন জনদূর্ভোগের এবিষয়টি আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার জানিয়েছি আশাকরছি তারা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here