কাশ্মীরে সশস্ত্রগোষ্ঠীর হামলায় পুলিশ-বিদ্রোহীসহ নিহত ৬ !

কাশ্মীরে সশস্ত্রগোষ্ঠীর হামলায় পুলিশ-বিদ্রোহীসহ নিহত ৬ ! ছবি-সংগ্রহ

সুপ্রভাত বগুড়া (আন্তর্জাতিক): উত্তপ্ত কাশ্মীরের প্রধান শহরে সশস্ত্রগোষ্ঠীর হামলায় ভারতের দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, আলাদা আরও দুটি সংঘাতে এক পুলিশ সদস্য এবং তিন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার আফ্রিকা, ইউরোপ এবং ল্যাটিন আমেরিকা ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলের ২০টিরও বেশি দেশের কূটনৈতিকরা দু’দিনের কাশ্মীর সফর শেষ করেন। তার একদিন পর শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সংঘাতের ঘটনা ঘটল।

পুলিশ জানায়, শ্রীনগরের একটি পুলিশ স্টেশন লক্ষ্য করে সশস্ত্রগোষ্ঠীর এক সদস্য গুলি চালায়। হাসপাতালে নেয়ার পর দুই পুলিশ সদস্য মারা যান। হামলার স্বল্প দৈর্ঘের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, কাশ্মীরের শীতকালীন পোশাক পরা একজন ব্যক্তি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। হামলা চালিয়ে সে দ্রুত ওই জায়গা থেকে পালিয়ে যায়।

Pop Ads

পুলিশ এবং সেনা বাহিনী পরে ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক তরুণকে আটক করে।
কোনো সশস্ত্রগোষ্ঠী তাৎক্ষণিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি। পুলিশের মহাপরিদর্শক বিজয় কুমার বলেন, সোফিয়ান জেলায় সশস্ত্রগোষ্ঠীর তিন সদস্য লুকিয়ে আছে এমন খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশে এবং সেনাবাহিনীর একটি দল।

এসময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘাত বাধে। শুক্রবার ভোরে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে তিনজনই নিহত হয়। তাদের কাছ থেকে দুটি রাইফেল এবং একটি পিস্তল উদ্ধার করে নিরাপত্তা বাহিনী। স্থানীয়রা জানান, সংঘাতের সময় বেসামরিক এক নাগরিকের বাড়ি লক্ষ্য করে বিস্ফোরক নিক্ষেপ করে সরকারি বাহিনী। কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনী প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটায় বলে জানান তারা।

কুমার জানান, ওয়েস্টার্ন বিরওয়াহ এলাকায় সশস্ত্রগোষ্ঠীর এক সদস্যের হামলায় পুলিশের এক সদস্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরেকজন। ভারত এবং পাকিস্তান কাশ্মীরের অধিকাংশ এলাকা দখল করে আছে। উভয়ই পুরো উপত্যকা নিজেদের বলে দাবি করে। কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বড় একটি অংশ ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে লড়ছে স্বাধীনতার জন্য। তাদের কেউ কেউ পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত হতে চায়।

কাশ্মীরের সশস্ত্রগোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডকে পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসবাদ বলে আখ্যা দিয়ে আসছে নয়াদিল্লি। পাকিস্তান সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছে। অধিকাংশ কাশ্মীরী তাদের লড়াইকে স্বাধীনতার বৈধ সংগ্রাম বলে মনে করেন।
দীর্ঘদিনের এ সংঘাতে লাখের বেশি সাধারণ নাগরিক, বিদ্রোহী এবং সরকারি বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।