গাবতলীর ইছামতী নদীতে অনুষ্ঠিত হল ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ

গাবতলীর ইছামতী নদীতে অনুষ্ঠিত হল ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বালিয়াদীঘি ইউনিয়নের তরণী হাট সংলগ্ন ইছামতী নদীতে পঞ্চম বারের মত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি বালিয়াদীঘি ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে শনিবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা অব্দি এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

গাবতলীর ইছামতী নদীতে অনুষ্ঠিত হল ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ

এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার। নৌকা বাইচ উদযাপন কমিটির সভাপতি শাহ নেওয়াজ খান জাকির পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি ও দৈনিক করতোয়া সম্পাদক মোজাম্মেল হক, কমিউনিটি পুলিশিং জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ আলম, গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন চন্দ্র সরকার, বালিয়াদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস আলী ফকির, নৌকা বাইচ উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ ফকির।

Pop Ads

এবারের খেলায় ১১টি দল অংশগ্রহণ করে। দলগুলো হল, জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত উরাল পঙ্খী, দুরন্ত এক্সপ্রেস, আলিশান, আল্লাহ ভরসা, রাখে আল্লাহ মারে কে, ইনশাআল্লাহ, সততা, বিজয় নিশান, একাত্তরের বিজয়, নয়ন মনি, কিংরাজ। প্রতিযোগিতায় ফাইনালে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় উড়াল পঙ্খী ও আল্লাহ ভরসা নৌকা। এতে উড়াল পঙ্খী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও আল্লাহ ভরসা রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণ পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। বাংলার অনেক ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। আমরা সে সব ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনব সকলে মিলে। আজকের নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে নারী পুরুষের ঢল নেমেছে ইছামতী নদীর দুই তীরে। মনে হচ্ছে যেন বিশেষ খুশির দিন আজ। আমরা বাঙালীরা আমাদের সংস্কৃতিকে লালন করি এটি তার অন্যতম প্রমাণ।

আগামীতে বগুড়া জেলা পুলিশের আয়োজনে করতোয়া নদীতে বিশাল নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানিয়েছেন। পুরষ্কার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দলকে একটি বড় ষাড় গরু, রানার আপ দলকে একটি ষাড় গরু, ৩য় ও চতুর্থকে একটি করে ছাগল উপহার দেয়া হয়।