ঠাকুরগাঁওয়ে খোলা আকাশের নিচে পড়ে রয়েছে হাজার মেট্রিক টন সার; নষ্ট হচ্ছে গুণগত মান

সুপ্রভাত বগুড়া (আলমগীর ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি): ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় এ দু’জেলার কৃষকের ফসল উৎপাদনে ইউরিয়া সার সরবরাহ করে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন।

কিন্তু তাদের নিজস্ব ভবন না থাকায় ১৯৯৬ সাল থেকে ঠাকুরগাঁও সদরের শিবগঞ্জ বিএডিসি’র সাড়ে ৭ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার একটি গুদাম নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।

Pop Ads

বর্তমানে চাহিদা বেশি হওয়ায় গুদামের বাইরেও ফেলে রাখা হয়েছে হাজার হাজার মেট্রিক টন সার। ফলে সারের বস্তা রোদ বৃস্টিতে ভিজে জমাট বাঁধছে। নষ্ট হচ্ছে গুণগত মান। আর জমাট বাঁধা সার কর্মচারির মাধ্যমে আবারো নতুন করে প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। জমাট বাঁধা সার দেয়া হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

যা জমিতে ব্যবহার করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন প্রান্তিক কৃষকেরা। কৃষকেরা কিছুতেই জমাট বাঁধা এসব সার কিনতে চাইছেন না। বাকিতে দিতে চাইলেও কৃষকেরা এসব সার নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। দীর্ঘদিন খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকায় সার জমাট বেঁধে গেছে।

সারের বস্তার গায়ে লেখা নিট ওজনের চেয়ে ওজন কমে গেলে বুঝতে হবে, ওই সার থেকে নাইট্রোজেন বেরিয়ে গেছে। এমন ইউরিয়া সারের গুণগত মান ঠিক নাও থাকতে পারে। বাফার গুদাম উপ-ব্যবস্থাপক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, নতুন গুদাম তৈরির জন্য ৬ একর জায়গা নেয়া হয়েছে।

সেখানে ২০ হাজার মেট্রিক টনের গুদাম করা হবে। সমস্যা সমাধানে নিজস্ব ভবন ও গুদামের কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে জানালেন তিনি। উল্লেখ্য, বর্তমানে গুদামে মজুদ করার পরও বাইরে রাখা আছে আরো ৬ হাজার মেট্রিক টন সার। দু’জেলায় ফসল উৎপাদনে বার্ষিক চাহিদা ৯০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here