চাঁপাইনবাবগঞ্জের আব্দুস সালামের সংগ্রামী জীবন এখন ঝিনাইদহের মাটিতে 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আব্দুস সালামের সংগ্রামী জীবন এখন ঝিনাইদহের মাটিতে । ছবি-রাসেল
সুপ্রভাত বগুড়া (রাসেল আহাম্মেদ  ঝিনাইদহ): মানুষ মানুষের জন্য একটু কি সহানুভূতি পেতে পারে না, আমাদের বাস্তব জীবনে আমরা কতোই না বিচিত্র কেউ থাকে অট্ট্রালিকায় কেউ থাকে কুড়ে ঘরে জীবন বাচাতে কতোই না সংগ্রামের পথ বেচে নিতে হয় আমাদের বাস্তব জীবনে। ঠিক তেমনই  হার না মানা এক যুদ্ধের গল্প আব্দুস সালামের জীবনে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিখবন থানার ঘোরাপাকিয়া ইউনিয়নের হত-দরিদ্র আব্দুস সালামের জীবনের গল্প শুনতে গিয়ে হতবাক অশ্রুসিক্ত হয়ে তার অশ্রু-নয়নের দিকে তাকিয়ে ছিলাম এক দৃষ্টিতে।চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিখবন থানার ঘোরাপাকিয়া ইউনিয়নের এক হত-দরিদ্র পরিবারে জন্ম আব্দুস সালামের, অভাব আর অনটনে দিন জেন কাটতেই চাইতো না আব্দুস সালামের পরিবারের।
১৯৮৮ সালে জীবন যুদ্ধে নামতে হয় আব্দুস সালামের, অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না থাকাই অভাব অনটনের সংসার চালাতে ফেরি করে জীবিকা নির্বাহ করে জীবন চালাতে পথের এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলেছে আব্দুস সালাম, আজ প্রায় ৭৫ বছর বয়স অতিক্রমের পথে আব্দুস সালামের জীবন সংগ্রামের বাস্তবতা।
সকাল থেকে বিকাল ৫ টা অব্দি গ্রাম এবং শহরের এ পথ থেকে আরেক পথে ছুটতে হয় থাকে, দিন শেষে  ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় আব্দুস সালামের, আর তাই নিয়ে কোন এক ভাবে জীবন চালাচ্ছে আব্দুস সালাম,জীবনের তাগিতে সকাল কোন একরকম পানি-পান্তা  খেয়ে ফেরি নিয়ে বের হয় কখনো কখনো দুপুরের খাবার টা খাওয়া হয় না তার,
সন্ধ্যার দিকে ঠিক তার বর্তমান গন্তব্য  স্থান  ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়ন পরিষদের মেঝেতে, তার পর আলু সিদ্ধ আর পোয়া খানিক চাউল এতেই চলে রাত এবং সকালে, পরিবারে রেখে আসা স্ত্রী  দুই মেয়ে আর এক নাত্নী, তাদের খরচ টা  ফেরি করে সামান্য কিছু আয়ের মাস শেষে ১৫০০/১৬০০  টাকা পাঠাতে হয় আর তাতেই দিন চলে কষ্টের সাথি হত-দরিদ্র আব্দুস সালামের পরিবারের।
দেশের উত্তরাঅঞ্চলের চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিখবন থানার ঘোরাপাকিয়া ইউনিয়নের বাবা বিলাত আলি এবং মাতা মোছাঃ মমেদা বেগমের এর জীবন যুদ্ধের এক অদম্য সন্তান আব্দুস সালামের সংগ্রামী পথ চলার  জীবনের জন্য নিরন্তর শুভকামনা  ও ভালোবাসা রইলো এবং সমাজের বিত্তবানদের কাছে তার ৭৫ বছর জীবনের সুখের জন্য একটু আন্তরিকতা ও সাহায্যের আবেদন রইলো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here