চীনের জিন থেরাপিতে বাড়বে না মানুষের বয়স !

চীনের জিন থেরাপিতে বাড়বে না মানুষের বয়স ! প্রতিকী-ছবি

সুপ্রভাত বগুড়া (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি): সময়ের চাকা ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে বয়সও। সেই সঙ্গে কমতে থাকে তারুণ্যের জৌলুস। তবে সুখবর নিয়ে এসেছেন চীনের একদল গবেষক। জানিয়েছেন আটকানো যাবে বয়সের চাকা। যার ফলে ধরে রাখা যাবে তারুণ্য, বাড়বে আয়ু। তারা আবিষ্কার করেছেন নতুন এক ধরনের জিন থেরাপি, যা ধরে রাখবে তারুণ্য। প্রাণিকোষের বয়স বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা হয় ‘ক্যাট-সেভেন’ জিনকে। বিশেষ প্রক্রিয়ায় কোষের এই জিন নিষ্ক্রিয় করার ফলে স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল বাড়ানো সম্ভব বলে দাবি করছেন চীনের গবেষক দল।

তাদের মতে, ‘ক্যাট-সেভেন’ জিনের কার্যকারিতা নষ্ট করার মাধ্যমে ধরে রাখা যাবে তারুণ্য। চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস এর অধ্যাপক ও প্রাণিবিদ্যা ইনস্টিটিউটের কো-সুপারভাইজার কু জিং বলেন, আমার ধারণা, আমরা এখনো বার্ধক্যের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানি না। প্রকৃতিকেও অস্বীকার করতে পারি না । এ অবস্থায় আমরা মূলত আয়ুকাল বাড়ানোর গোপন সূত্র অনুসন্ধান করতে পারি। ইতোমধ্যেই নতুন এই জিন থেরাপি ইঁদুরের শরীরে প্রয়োগ করে পাওয়া গেছে ইতিবাচক ফলাফল।

Pop Ads

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ‘ক্যাট-সেভেন’ জিন মিউটেশন করে শতকরা ২৫ ভাগ ইঁদুরের স্বাভাবিক জীবনকাল বেড়েছে। এর পাশাপাশি তাদের দৈহিক গঠনে উন্নতি হয়েছে, শরীরেও বেড়েছে শক্তি। কু জিং বলেন, ৬ থেকে ৮ মাস পর এই ইঁদুরগুলোর সার্বিক উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। তারা আরো শক্তিশালী হয়েছে, দেখতেও ভালো হয়েছে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শতকরা ২৫ ভাগ ইঁদুরের আয়ুকাল বেড়েছে। তবে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ইঁদুরের যকৃত কোষের পাশাপাশি মানুষের ভ্রূণকোষ ও যকৃত কোষে এই জিন থেরাপি প্রয়োগ করে কোনো দৃশ্যমান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। এ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে তারুণ্য ধরে রাখার অদম্য চেষ্টায় মানুষ আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলেও আশা করছেন তারা।