ঠাকুরগাঁওয়ে বিয়ের প্রলোভনে অন্যের স্ত্রীকে ধর্ষণ; মামলা করায় প্রাণ নাশের হুমকি

ঠাকুরগাঁওয়ে বিয়ের প্রলোভনে অন্যের স্ত্রীকে ধর্ষণ; মামলা করায় প্রাণ নাশের হুমকি। প্রতিকী-ছবি

সুপ্রভাত বগুড়া (আলমগীর ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি): ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখানপুকুরী ইউনিয়নের মন্ডল পাড়ার ইসমাইলের ছেলে আল আমিনের সাথে একই ইউনিয়নের বাংরোড এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের মেয়ে খালেদা আক্তারের সখ্যতা গড়ে ওঠে প্রায় ৭-৮ বছর আগে।কিন্তু আল আমিন ওরফে সেলিমের পরিবার তা মেনে না নেওয়ায় তাদের আর বিয়ে হয়নি।

অবশেষে বছর চারেক আগে খালেদার বিয়ে হয় দিনাজপুরের মুরারী পাড়ার দুলালের ছেলে ফয়জুলের সাথে।
বিয়ের তারা ঢাকায় বসবাস করতে থাকে। চার বছরের সংসার জীবনে তাদের একটি কন্যা সন্তানও হয়, বর্তমানে যার বয়স আড়াই বছর। বিয়ের পর থেকেই সেলিম খালেদাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে।এমনকি সেলিম খালেদার স্বামী ফয়জুলকে খালেদার নামে কূরুচিমুলক কথা-বার্তা বলে।এতে ফয়জুল আর খালেদার সম্পর্কে ফাটল ধরে।

Pop Ads

ফয়জুল একপর্যায়ে খালেদাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেলিম খালেদাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্প্রতি খালেদা বিয়ের চাপ দিলে সেলিম তাকে বিয়ে করবে বলে কাগজপত্র নিয়ে ঠাকুরগাঁও বড় মাঠে আসতে বলে। গত ১ মার্চ (সোমবার) খালেদা কাগজপত্র নিয়ে বড় মাঠে আসে। কিন্তু সেলিম তাল-বাহানা করে বলে সে কাগজ নিয়ে আসেনি,আজ বিয়ে হবেনা।

এরপর ৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে খালেদা সেলিমকে মুঠোফোনে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে জিজ্ঞেসা করে কেন সে এমন করছে? এ নিয়ে চলে বাকবিতন্ডা, একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।এসময় সেলিমের আত্মীয় সুমন, সোহাগ, মোস্তফা, আকাশীসহ ৭/৮ জন খালেদাকে মারধর করে সেলিমকে নিয়ে চলে যায়।

পরে উপায় না পেয়ে খালেদা স্থানীয় লোকদের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার রাতে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় সেলিমের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করে। এতেও সেলিম ক্ষান্ত হয়নি। এখন সে প্রতিদিনই খালেদা ও তার পরিবারের ব্যাপক ক্ষতিসহ প্রাণ নাশের হুমকি-ধামকি প্রদান করছে।

আজ মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে খালেদা আক্তারের সাথে কথা বললে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, আমার এই কুল ওই কুল সবি গেলো। আমি আপনাদের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।আমার টাকা পয়সা চাইনা শুধু সেলিমের বিচার চাই।আমি আমার এই ছোট্ট শিশু মেয়েকে নিয়ে এখন কোথায় দাঁড়াবো?

এব্যাপার মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি আমার নলেজে এসেছে। আমি গতকালও আসামী ধরতে গিয়েছিলাম। বর্তমানে তারা পলাতক। তারপরও আমরা আসামী ধরার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি।