ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা তদন্তের আগে সাংবাদিক গ্রেপ্তার হবেনা : আইনমন্ত্রী

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা তদন্তের আগে সাংবাদিক গ্রেপ্তার হবেনা আইনমন্ত্রী

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের কথা স্বীকার করে তা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এই আইনের মামলায় তদন্ত শেষের আগে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হবে না বলেও এসময় জানান তিনি। বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হওয়ার আগে ইনকুয়ারির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সেলে যাচ্ছে। যদি অভিযোগ মামলা করার মতো হয়, তাহলে মামলা আদালতে যাবে। এর আগে যেন কোনো সাংবাদিককে মামলায় জড়ানো না হয়।

Pop Ads

এসময় স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাধা নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ হয়েছে। এখন কিন্তু কোনো সাংবাদিককে মামলা হবার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আগে যাচাই-বাছাই হয়। এই আইন সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি।

ক্র্যাব সভাপতি মিজান মালিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ১৯৬৪ সাল থেকে আমি খবরের কাগজ পড়ি। তখন আমার বয়স আট। তখন ক্রাইম রিপোর্টিং আলাদাভাবে ছিল না। আগে আইনজীবীদের মধ্যেও এমনটি ছিল। কিন্তু এখন আলাদা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠছে সাংবাদিক ও আইনজীবীরা।

তিনি বলেন, অপরাধের তথ্য এখন অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানার আগেই দিচ্ছে সাংবাদিকরা। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সবার। সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে যে সুসম্পর্ক তা খুবই গভীর হয়েছে। আমাদের দেশে যতো টকশো হয়, এতো টকশো অন্য দেশের গণমাধ্যমে হয় না। বাক-স্বাধীনতা নাই, তা বলা যাবে না। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাও হচ্ছে।

দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কিন্তু এও জানি এর অপব্যবহার হয়েছে। এটা যাতে বন্ধ হয়, সেজন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। গত বছরই ইউনাইটেড ন্যাশনসে ডায়ালগ শুরু করেছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধে করনীয় কি হতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বেস্ট প্রাকটিস যাতে হয়, আইনের ক্ষমতাবলে বিধিতে সেসব রাখা যাবে যাতে আইনের অপব্যবহার না হয়।

এসময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিষ্পত্তি হওয়া আবেদন নতুন করে বিবেচনার সুযোগ নেই। এদিকে, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করা উচিত বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তবে রাষ্ট্রপতি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেভাবে কমিশন গঠন করা হবে।

 

অনুষ্ঠানে অপরাধ বিষয়ক অনুসন্ধান ও মাদক চোরাচালান নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য ৬ সাংবাদিককে ক্র্যাবের বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।