ঢাকায় ফ্রান্স সরকারের বিরুদ্ধে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল

ঢাকায় ফ্রান্স সরকারের বিরুদ্ধে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল

সুপ্রভাত বগুড়া ডেস্ক: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ইসলামের বিরুদ্ধে করা সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার সকালে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর ফরাসি দূতাবাস ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে একটি মিছিল বের সংগঠনটির নেতা–কর্মীরা। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর ফরাসি দূতাবাস ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে একটি মিছিল বের করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংগঠনটির নেতা–কর্মীরা।

মহানবী হজরত মহম্মদ–কে নিয়ে ফ্রান্সে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন এবং তার রেশ ধরে দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ‘ইসলামবিদ্বেষী’ অবস্থানের প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন। এই মাসের শুরুতে ম্যাক্রোঁ ইসলামকে সঙ্কটাপন্ন ধর্ম হিসেবে মন্তব্য করেন এবং ফ্রান্সে ইসলামি বিচ্ছিন্নতাবাদ দমন করতে ১৯০৫ সালের একটি আইনকে নতুন করে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেন বলে সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর। সমাবেশে দলের আমির ও চরমোনাইয়ের পীর সৈয়দ মহম্মদ রেজাউল করিম ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

Pop Ads

রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে মঙ্গলবার দুপুরে এক বিক্ষোভ মিছিল–সমাবেশে সৈয়দ রেজাউল করিম এই দাবি জানান। ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই অবস্থানের প্রতিবাদে আরব উপসাগরীয় অঞ্চল–সহ মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। অনেক খ্যাতনামা চেইন শপ–সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফরাসি পণ্য বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। ইসলামি আন্দোলনের নেতা–কর্মীরা ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি উপলক্ষ্যে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে জমায়েত হন।

তারপর মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়, বিজয়নগর, কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর পৌঁছলে পুলিশ কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে তাঁদের আটকে দেয়। সেখানে দলের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন আমির। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার প্রতিবাদে ফ্রান্সের পণ্য বর্জনে একাত্মতা ঘোষণা করেন রেজাউল করিম।

সাধারণ ছাত্রদের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক বিক্ষোভ সমাবেশের পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নামে একটি ইসলামপন্থী দল মঙ্গলবার ঢাকায় ফরাসী দূতাবাস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নেয়। এই দলের আমীর সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, ‘‌তাঁর এসব মন্তব্যের জন্য প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে মুসলমানদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে এবং বাংলাদেশ সরকারকে সংসদে প্রস্তাব এনে ফ্রান্সের নিন্দা করতে হবে।’‌