তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরই এ মামলা জট খুলে যাবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সুপ্রভাত বগুড়া (জাতীয়): স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরই এ মামলা জট খুলে যাবে। আজ শুক্রবার ধানমন্ডিতে তার বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

Pop Ads

স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বলন, ‘সিনহা হত্যার ঘটনা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটি যে সুপারিশ করবে, সরকার সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

তদন্ত কমিটির রিপোর্টে কক্সবজারের এসপির বিরুদ্ধে কোনো বিষয় থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

পুলিশের মামলায় সিনহার সঙ্গে থাকা লোকজন যারা বর্তমানে কারাবন্দি তাদের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়টিও আমাদের নজরে রয়েছে।

তদন্ত কমিটির সুপারিশে এদের বিষয়টিও আশা করছি থাকবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দেখে এদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান (৩৬)।

তার ওপর গুলি চালান বাহারছড়া ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ ইন্সপেক্টর লিয়াকত। এই ঘটনায় বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ২০ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

একই সঙ্গে গত বুধবার টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে প্রত্যাহার করা হয়। সিনহা নিহতের ঘটনায় ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে গেল ৫ জুলাই মামলা করেন তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।

টেকনাফ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহার আদালতে মামলাটি করা হয়। পরে মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে টেকনাফ থানার ওসিকে এজাহারের ধারা অনুযায়ী হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।

পাশাপাশি মামলাটি রেকর্ড করে সাত দিনের মধ্যে আদালতকে অবগত করার আদেশও দেন আদালত।মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল ও মোহাম্মদ মোস্তফা জানান,

মামলা রেকর্ডের পর কক্সবাজারস্থ র‌্যাব-১৫ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার আজিম আহমেদকে তদন্ত করার নির্দেশও দেন আদালত। মামলার এজাহারে প্রধান আসামি করা হয়েছে টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীকে।

২নং আসামি করা হয়েছে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে। এছাড়া অন্য সাত আসামি হলেন- এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এসআই টুটুল ও কনস্টেবল মো. মোস্তফা।

এই আসামিদের মধ্যে এসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোস্তফা পলাতক রয়েছেন। ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে

বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের আদালতের আদেশে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে র‌্যাব। আর বাকি চারজনকে জেলগেট জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here