দুই পাওয়ার হাউসের লড়াই আজ

144
দুই পাওয়ার হাউসের লড়াই আজ

ওয়ানডে বিশ্বকাপে আজ (বৃহস্পতিবার) একটি ম্যাচ। আসরের দশম এ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে দুই পাওয়ার হাউস – অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ম্যাচে রেকর্ডগড়া রান করে জয় পাওয়ায় আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে প্রোটিয়ারা। অন্যদিকে, আসরে বাজে শুরুর পর ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া অজিরা। ভারতের লখনৌতে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায়।

১২ মার্চ, ২০০৬। ক্রিকেট বিশ্ব দেখেছিলো এক অবিশ্বাস্য লড়াই। পাঁচ-ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৪৩৫ রানের টার্গেটও টপকে গিয়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। রিকি পন্টিং, হার্শেল গিবসদের ঐ অতিমানবীয় পারফরম্যান্স ২২ গজের ইতিহাসে অন্যতম সেরা হয়ে আছে। শুধু ঐ ম্যাচই নয়, অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বৈরথ মানেই যেন পাওয়ার শো।

Pop Ads

বিশ্বকাপের ইতিহাসেও অন্যতম সেরা ম্যাচ উপহার দিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯৯ সালের নাটকীয় সেমিফাইনালে অ্যালান ডোনাল্ডের অদ্ভুতুড়ে রানআউটে স্বপ্ন ভেঙেছিলো প্রোটিয়াদের। বিশ্বকাপে প্রথম টাই দেখেছিলেন দর্শকরা। তবে, পয়েন্ট টেবিলে ওপরে থেকে সুপার সিক্স শেষ করায় ফাইনালে উঠেছিলো অজিরা।

দুদল মুখোমুখি হলেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যায় দারুণ। এখন পর্যন্ত ১০৮ ওয়ানডেতে ৫০ জয় অস্ট্রেলিয়ার আর ৫৪ জয় দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০১৬ থেকে ২০ দেখায় ১৫ বারই জিতেছে প্রোটিয়ারা। বিশ্বকাপে অবশ্য এগিয়ে অজিরা। ৫ দেখায় ৩ জয় তাদের।

তবে, এবারের বিশ্বকাপে দুদলের শুরুটা হয়েছে দুরকম। বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪২৮ রানের স্কোর গড়ে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৯ বলে সেঞ্চুরি করে বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন এইডেন মার্করাম। অন্যদিকে, দুইশর নিচে অলআউট হয়ে ভারতের বিপক্ষে হেরে বিশকাপ শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। তাই আফ্রিকানরা আত্মবিশ্বাসের চূড়ায়, আর অজিরা ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া।

বুধবার ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বোলিংটা এমন হতে হবে যেন প্রতিপক্ষ উইকেট দিতে বাধ্য হয়। ব্যাটারদের জন্য বিষয়টা একই রকম। পার্টনারশিপ গড়তে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আমাদের দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। অনেকটা একই ধরনের দল আমরাও।’

এদিকে, প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক ব্যাটার ডি কক বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ানদের সমৃদ্ধ ইতিহাস আর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মানসিকতা রয়েছে। যে দল চাপ সামলাতে পারবে, তারাই সাফল্য পাবে। দুদলই শক্তিশালী। বিগ ইগো রয়েছে। দুদলই জয় পেতে মরিয়া।’

তবে, পাওয়ার হাউসের লড়াই হলেও লখনৌর উইকেট ফ্যানদের জন্য ভালো কোনো তথ্য দিচ্ছে না। এ ভেন্যুতে এখন পর্যন্ত হয়েছে মোট চার ওয়ানডে, যার মধ্যে আগে ব্যাট করা দলের সর্বোচ্চ স্কোর মাত্র ২৫৩। এ বছর আইপিএলের সবচেয়ে বাজে ভেন্যুর উপাধি পাওয়া একানা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দাপট দেখাতে পারেন স্পিনাররা। সেক্ষেত্রে পিছিয়েই রাখতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। এক জাম্পা ছাড়া স্বীকৃত স্পিনার নেই তাদের। অন্যদিকে, শামসি-মহারাজদের নিয়ে এগিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা।