সুপ্রভাত বগুড়া (নন্দীগ্রাম বগুড়া প্রতিনিধি): বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগের রেজুলেশন মূলে শুন্য পদে সভাপতি মোঃ আজিজুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক মোঃ আফজাল হোসেন দায়িত্ব পাওয়ায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীও কার্যালয়ে মিস্টি বিতরন ও আলোচনা সভা অনুস্ঠিত হয়েছে, উক্ত আলোচনা সভায় দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক সকল নেতা কর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সহ নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগের হাইব্রীড নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন, অভিযোগে বলা হয়, গত তিন বছর আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মৃত্যুবরণ করেন,
গত মার্চ মাসে সাধারণ সম্পাদক রিলিফের চাল চুরির দায়ে দল থেকে বহিষ্কার হয়, এই সুযোগে মোঃ রফিকুল ইসলাম ও মোঃ আনোয়ার হোসেন রানা নিজেদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গায়েবী পদ ঘোষণা করে নানা অপকর্মে লিপ্ত, তাদের এই ঘোষণা আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী, দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক ১০৮ পৃষ্ঠায় ২৪(খ) ধারা মতে আওয়ামী লীগের কোন পদ শূন্য হলে কার্যনির্বাহী সংসদ উক্ত পদ শূন্য হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে কো-অপশন বা মনোনয়ন দিয়ে এই শূন্যপদ অবশ্যই পূরণ করবে, অথচ ওই দুই ব্যক্তি দলীয় কার্যালয়ে না এসে গায়েবী পদ নিয়েছেন, তাদের সভা করার কথা বললেও তারা কোন কর্ণপাত করেন না, অভিযোগে বলা হয়,
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম ছিলেন ১৯৭১ সালে মুসলিম লীগের দোসর এবং তার সন্তান বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, আর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ২০১২ সালে জাতীয় পার্টি থেকে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বনে গেছেন, অথচ এই নেতা ১৯৮৬ সালে বগুড়া ৪ আসনের নির্বাচনে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তায় জাতীয় পার্টির পক্ষে আনন্দ মিছিল করেছেন, এছাড়াও ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় জাতির পিতা কে নিয়ে কটুক্তি সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন,
আজ তারাই আওয়ামী লীগের গায়েবী পদ নিয়ে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তানদের ওপর জুলুম নির্যাতন করছে, উল্লেখ্য নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটির সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সহ অধ্যাপক মোঃ আজিজুর রহমান কে সভাপতির শুন্য পদে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আফজাল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক এর শূন্যপদে কো-অপশন করে দায়িত্ব অর্পণ করার পর বগুড়া জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের হাইব্রীড নেতাদের বিরুদ্ধে এরকম নানান অভিযোগ তুলে ধরা সহ স্বঘোষিত ওই দুই ব্যাক্তিকে দলীয় ভারপ্রাপ্ত পরিচয় না দিতেও বলা হয়।
উক্ত মিস্টি বিতরন ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শ্রী দুলাল চন্দ্র মহন্ত, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক শামীম শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী স্বপন চন্দ্র মহন্ত, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মাহমুদ আশরাফ মামুন,
উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু সাঈদ, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম (শফিক), সাধারন সম্পাদক সাঈদ রায়হান মানিক, সাবেক কৃষকলীগের সভাপতি শাহজাহান আলী সাজু, সাবেক ছাত্র নেতা আঃ রাজ্জাক, ছাত্রনেতা শুভ আহম্মেদ, ছাইফুল ইসলাম দুলাল, যুবলীগ নেতা মোফাজ্জল বারী, জুয়েল মেম্বার প্রমূখ।