সুপ্রভাত বগুড়া (বুলবুল আহম্মেদ, বদলগাছি প্রতিনিধি): সুদ খাওয়া ও নেওয়া দুটোই হারাম হাদিসে থাকলে ও সুদখুরের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলে। সমস্যাগস্ত মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য ধার -কর্জা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে সুদে টাকা আনতে হচ্ছে। সুদের হার যেন ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলে সারা দেশে। আজকাল ধারে টাকা পাওয়া যায় না। তাই সুদ ছাড়া গতি নেই অসহায় মানুষদের।
গ্রামের মানুষের ঘুম হারাম হয়ে যায় সুদ পরিশোধের চিন্তায়। জেলা উপজেলায় নামে -বেনামে ২০-৩০ জন মিলে সুদের নিবন্ধনহীন সমিতি গঠন করে চরা হারে সুদ নিচ্ছে। সরকার জেলা উপজেলায় সুদখুরদের বিরুদ্ধে অভিযান চালু করলে সমাজের সাধারণ মানুষগুলো বেঁচে যেতো ।
সুদখুররা জমজমাট সুদের ব্যবসা করে যাচ্ছে। সুদের কারণে অনেকেই হচ্ছে ভিটাবাড়ি ছাড়া।সবার থেকে রক্ষা পেলেও সুদখুরদের হাত থেকে রক্ষা পায় না। এখন যদি সুদ গ্রহিতাদের প্রশ্ন করে সুদ না নিলেই হয় বা নেন কেন? তখন তাদের দীর্ঘ নিঃস্বাস ফেলা ছাড়া কিছুই উত্তর পাওয়া যাবে না ।
আর যদি সুদ প্রদানকারীদের বলেন যে আপনি সুদের টাকা দিয়ে কতটুকু লাভবান ? হাজারো উত্তর পাওয়া যাবে। করোনার এই পরিস্থিতির সময় এনজিও,ব্যাংক সকল সুদ মুনাফা বন্ধ থাকলেও শুধু বন্ধ হয়নি সুদ । ঘরে খাওয়ার কিছু না থাকলে ও সুদ যে থাকে দিতেই হবে।
তাই সরকারের কাছে দাবি জেলা- উপজেলায় সুদকারীদের উপর ব্যবস্থা নেওয়া হোক তাহলে অনেক পরিবারের ভিটাবাড়ি রক্ষা পাবে, অত্যাচারের শিকার হতে হবে না । নাওগাঁ জেলাও বদলগাঁছী প্রশাসনের এ বিষয়টি সুনজরে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।