নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কষ্ট কমানোর বাজেট চান অর্থনীতিবিদরা

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কষ্ট কমানোর বাজেট চান অর্থনীতিবিদরা

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কষ্ট কমানোর বাজেট চান অর্থনীতিবিদরা। তাই আসছে বাজেটে বাজার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কৌশল থাকা জরুরি বলছেন তারা। এদিকে, ভর্তুকি বৃদ্ধি ও আমদানি-নির্ভর পণ্যের উৎপাদন বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে চায় সরকার।

রপ্তানি ও প্রবাসী আয় মিলিয়েও মেটানো যাচ্ছে না আমদানি ব্যয়। ফলে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ডলারের বিপরীতে দুর্বল হচ্ছে টাকার মান, চাপে পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

Pop Ads

অন্যদিকে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বেপরোয়া। জাহাজ ভাড়াও বেড়েছে কয়েকগুণ। আর এসবের সরাসরি প্রভাব পড়ছে সব ধরনের পণ্যমূল্যে। লাফিয়ে বাড়ছে দাম। ঠেকানো যাচ্ছে না মূল্যস্ফীতি। বিশেষ করে খাদ্যখাতের মূল্যস্ফীতি চরম কষ্টে ফেলেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষকে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো- বিবিএসের তথ্য বলছে, দেশে মূল্যস্ফীতি এখন ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। বৈশ্বিক অস্থিরতা না কাটলে মূল্যস্ফীতির এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরো দীর্ঘ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন বাস্তবতায় মানুষকে কমমূল্যে খাদ্যপণ্য ও সেবা দেয়াটা নতুন বাজেটের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাজার নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে শুল্ক কমানো হয়েছে ভোজ্যতেলে। প্রয়োজনে অপরিহার্য সব পণ্যের আমদানি ও ভোক্তা পর্যায়ে ভ্যাট ও শুল্ক ছাড়ের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।

একইসাথে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনার কথা বলছেন তারা। এদিকে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসন্ন বাজেটে বাড়ানো হচ্ছে ভর্তুকি-ব্যয়। নতুন অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য সরকারের।