স্টাফ রিপোর্টার: মাদকের বিরুদ্ধে সরকার ঘোষিত জিরো টলারেন্সসহ নানা অভিযান ও ধরপাকোড়ের পরেও যেন কিছুৃতেই থামানো যাচ্ছেনা মাদক কারবারি আর মাদক সেবীদের দৌরাত্ব। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকায় প্রশাসনের হাতে ধরা পড়ছে মাদক ব্যবসায়ী মাদক সেবীসহ বড় বড় রাঘব বোয়াল। তবুও যেন অনেকটাই প্রসাশনের চোখে ফাকি দিয়ে অদৃশ্য কারণে দেদারসে ঘটে চলছে এই সব কর্মকান্ড।
আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের পুরান বগুড়া তিনমাথা রেলগেট এলাকায় জনবহুল বছির উদ্দিন মার্কেটের সামনের ড্রেনটি পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কমীরা যখন পরিস্কার করছিলন তখন ড্রেনের ভিতর থেকে তোলা আবর্জনার সাথে বেরিয়ে আসতে থাকে শতশত ফেন্সিডিলের পরিত্যাক্ত বোতল। যা দেখে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে হৈ হুল্লোড় পড়ে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বগুড়া সাতমাথা টু তিনমাথা মেইন রোডের ঠিক দক্ষিণে বছির উদ্দিন মার্কেটে অবস্থিত এম জান্নাত ফার্মেসীর সামনে ড্রেনের স্লাবের নিচ থেকে তোলা শত শত ফেন্সিডিলের পরিত্যাক্ত বোতল। স্থানীয় লোকজনের ধারণা আশ পাশের পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের কারণেই এমন ঘটনার অবতারণা হয়েছে।
হয়তো তারা মাদক সেবনের পরে নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে ড্রেনের ভিতরে এই সকল পরিত্যাক্ত বোতল ফেলেই ড্রেনেজ ব্যবস্থার এমন দুর্গতি করেছে। স্থানীয় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, করোনাকালীন সময়ে লকডাউনে সন্ধ্যার পরে জনসমাগম কম থাকায় আশপাশের অলি-গলিতে মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীদের আনা গোনা ও ছোটা ছুটি ব্যবপকভাবে লক্ষ্য করা যায়।
এছাড়া তিনমাথা রেলগেট তধা পুরান বগুড়া এলাকায় মাদকের সহজ প্রাপ্যতা ও লাগামহীন বাণিজ্যকেই এই দুর্গতির কারণ হিসাবে দায়ি করছেন এলাকার সুধী মহল এবং তারা এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বছরের অধিকাংশ সময়ই এই পুরান বগুড়া এলাকার রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে থাকে। এছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থার দুর্গতির কারণে পানি নিস্কাশন সঠিক ভাবে হয়না বিধায় সারা বছর পথচারি সহ সাধারণ জনগণের ভোগান্তির শেষ থাকেনা। অল্প বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় এলাকার ছোট বড় রাস্তাগুলো।
বগুড়া পৌরসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যবসায়ীক জোন হিসাবে পরিচিত এলাকা এই পুরান বগুড়া, এখানে বেশ কয়েকটি বড় বড় মিল কারখানা স্কুল কলেজ ব্যাংক, ক্লিনিক সহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকায় এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার সহজতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে বড় রাস্তার সাথে যে কয়েকটি ড্রেন সচল রয়েছে তার অবস্থাও নাজেহাল করে ছেড়েছে এলাকার চিহ্ণিত পেশাদার এই সকল মাদকসেবি ও মাদক ব্যবসায়রিা।
তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে এখনই এসব অসামাজিক ও আইন বিরোধী কর্মকান্ডের রিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এলাকার অর্থ সামাজিক উন্নয়ন ব্যহত হবার পাশাপাশি এলাকার ছাত্র সমাজ ও তরুণ প্রজন্ম ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হবে বলে ধারণা সচেতন মহলের।