পোশাক-প্রসাধনের শুদ্ধাচার ফুটিয়ে তোলে আপনার ব্যক্তিত্ব

সুপ্রভাত বগুড়া (ফ্যাশন ও রুপচর্চা): আপনি কী একজন শুদ্ধ মানুষ হতে চান? তাহলে পথ চলার ক্ষেত্রে কিছু শুদ্ধাচার মেনে চলুন। আর তা যদি আপনি পারেন, তবে দেখবেন চমৎকার এক জগতে প্রবেশ করেছেন। শুদ্ধ হওয়া বিষয়টি এমন নয় যে এটা আপনা আপনি হয়ে যায়।

শুদ্ধ হওয়ার জন্যে আপনাকে এটা চর্চা করতে হবে। এটা অনেকটা ভালো সঙ্গীত শিল্পী বা ক্রীড়াবিদ হয়ে উঠার মতোই। সাফল্যের জন্যে তাদেরকে যেমন চর্চা করতে হয়, শুদ্ধ মানুষ হওয়ার ব্যাাপরেও আপনাকে সেটা করতে হবে।আজ আমরা আলোচনা করবো পোশাক-প্রসাধনের শুদ্ধাচার-

Pop Ads

– পরিচছন্ন, মার্জিত ও শালীন পোশাক পরিধান করুন।
– খুব আঁটসাঁট ও দৃষ্টিকটু নয়; বরং কাজে ও চলাফেরায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন-এমন পোশাক পরুন।
– বয়স বুঝে সময় ও অনুষ্ঠান উপযোগী পোশাক নির্বাচন করুন।

– পোশাকে সুরুচির পরিচয় দিন। তথাকথিত আধুনিক হতে গিয়ে ছেলেরা মেয়েদের বা মেয়েরা ছেলেদের পোশাক পরা থেকে বিরত থাকুন।
– উৎসবে/ পার্বণে বা ধর্মীয় ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ অনুষ্ঠানে সাজপোশাক নির্বাচনে সচেতন থাকুন।
– এই পোশাকটি কোথা থেকে কিনেছেন? এমন প্রশ্ন করার পর কেউ যদি উত্তর দেন-‘উপহার পেয়েছি’, তাহলে আর কথা বাড়াবেন না।

– ড্রেসিং রুমে বা আড়ালে গিয়ে পোশাক পরিবর্তন করুন।
– খালি গায়ে অন্যের সামনে আসবেন না। জামার বোতাম ঠিকভাবে লাগান।
– ‘এ পোশাকে তোমাকে মানাচ্ছে না’-এ ধরনের কথা বলে কাউকে অস্বস্তিতে ফেলবেন না।
– ব্যবহৃত পারফিউমের উগ্র গন্ধ, জুতোর হিল বা অলংকারের শব্দে যাতে অন্যের অসুবিধা না হয় তা খেয়াল রাখুন।

– দাড়ি না রাখলে প্রতিদিন সকালে শেভ করুন।
– আচঁড়ানোর পর চিরুনিতে থাকা চুল পরিষ্কার করুন। ঝরা চুল ও কাটা নখ নির্ধারিত স্থানে ফেলুন।
– অনুমতি ছাড়া কারো পরিধেয় টাই, কলম, আইডি কার্ড ধরে দেখবেন না/ নেবেন না।
– চোখের কোণের ময়লা, মুখ ও ঘামের দুর্গন্ধের ব্যাপারে সচেতন থাকুন।

– পরিধেয় পোশাক ও সাজসজ্জা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনায় না গিয়ে সংক্ষেপে প্রশংসা করুন।
– ‘ব্র্যান্ডের পোশাক পরতে হবে’ এই দাস-মানসিকতা বর্জন করুন। পোশাকের গুণাগুণ, উপযোগিতা, রুচিশীলতা ও শালীনতাকে প্রাধান্য দিন।
– ঘরে পোশাকের স্তূপ করে রাখবেন না। যে পোশাক আর পরবেন না, তা যাদের প্রয়োজন তাদের দিয়ে দিন।