ফিশ স্টেক বানানোর রেসিপি

সুপ্রভাত বগুড় (রান্না-বান্না):  এখনকার জেনারেশনের খুবই পছন্দের একটি ডিশ হচ্ছে স্টেক। রেস্টুরেন্টে যেয়ে স্টেক তো খাওয়া হয়ই, রসনাবিলাসী বাঙ্গালীদের রান্না ঘরেও এখন স্টেক জায়গা করে নিয়েছে।

বিফ এবং চিকেন দিয়ে তো সবসময় খাওয়া হয়, ফিশ দিয়ে কি ট্রাই করেছেন? মাছে-ভাতে বাঙালির পাতে ফিশ স্টেক, বাঙ্গালীয়ানার সাথে বিদেশি রান্নার মিলন!

Pop Ads

সবসময় মাছ ভুনা বা তরকারিতে না খেয়ে নতুন ধাঁচে এবার রান্না করে দেখুন, এতে স্বাদের একঘেয়েমিতা কাটবে। মাছ দিয়ে স্টেক তৈরিতে সময় ও উপকরণ দুটোই কম লাগে।

ব্যস্ত জীবনে ঝটপট রেসিপি যারা খুঁজছেন, তাদের জন্য একদম পারফেক্ট। ফ্রিজে যদি বড় মাছের পিছ থাকে, তাহলে আজই স্টেক ট্রাই করতে পারেন। চলুন তাহলে ফিশ স্টেক বানানোর পুরো প্রণালিটি জেনে নেই।

ফিশ স্টেক বানানোর নিয়ম

উপকরণ

• বড় মাছের পেটি- ৪ টুকরো (কাঁটা কম এমন মাছ নিতে হবে যেমন কোরাল, ভেটকি বা আইড়)
• লবণ– পরিমাণমতো
• লেবুর রস- ১ চা চামচ
• বাটার– ৩ টেবিল চামচ
• গোলমরিচের গুঁড়া- ১ চা চামচ
• রসুনের রস- ১ চা চামচ
• সয়া সস- সামান্য
• ভিনেগার- সামান্য

প্রস্তুত প্রণালী

১) প্রথমে মাছের টুকরোগুলো গোলমরিচের গুঁড়া, রসুনের রস ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিন। হাতে সময় বেশি থাকলে ৩০ মিনিটের জন্য মেরিনেট করতে পারেন। এতে স্বাদ ভালো হবে।

২) এরপর চুলায় ফ্রাইপ্যান গরম করে বাটার দিয়ে দিন। বাটার গলে গেলে তাতে মাছের টুকরোগুলো দিয়ে দিবেন। হালকা আঁচে ভাজতে হবে।

৩) একপিঠ হালকা ভাজা হয়ে গেলে সাবধানে উলটিয়ে দিন। দেখবেন যাতে পোড়াপোড়া না হয়ে যায়। প্রতি পাশ ১ মিনিট করে ৩/৪ বার ভাজুন, এতে খুব বেশি ফ্রাই হবে না বা শক্ত হয়ে যাবে না।

৪) এবার লেবুর রস, খুব সামান্য সয়া সস ও ভিনেগার দিয়ে দিন। বাটারের সাথে রসুনের ফ্লেবারটা অনেকেই পছন্দ করে,

চাইনিজ অথেনটিক ডিশে এমন স্মেল পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ভিনেগার ও সয়া সস এড়িয়ে যেতে পারেন।

ব্যস, তৈরি হয়ে গেল গরম গরম ফিশ স্টেক। খুব সহজ না? এটা সটেড ভেজিটেবল, ফ্রায়েড রাইস বা স্যুপের সাথে পরিবেশন করতে পারেন।

খুবই সিম্পল রেসিপি কিন্তু হেলদি ও টেস্টি। যারা ডায়েট করছেন, তেল-মসলাযুক্ত খাবার খেতে চান না, তাদের জন্য কিন্তু বেশ ভালো অপশন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here