বগুড়ার চন্ডিহারাতে চাঁদা না দেওয়ায় নিরীহ ব্যক্তিকে ফাঁসানোর চেষ্টা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

বগুড়ার চন্ডিহারাতে চাঁদা না দেওয়ায় নিরীহ ব্যক্তিকে ফাঁসানোর চেষ্টা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারা বন্দরে দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় বিকাশ ব্যবসায়ী হানজেলাকে মাদক ব্যবসায়ী আখ্যায়িত করে ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট। চিহ্নিত ৩ সাংবাদিকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি ও প্রতিবাদে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার বিকাল ৫টায় উপজেলার চন্ডিহারা বন্দর এলাকার সচেতন মহল ও ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে কথিত সাংবাদিক নামধারী সাইদুর রহমান সাজু, নুরনবী রহমান সহ কতিপয় চাঁদাবাজ ব্যক্তিদেরকে গ্রেফতারের দাবিতে বিশাল মানববন্ধন স্থানীয় ব্যবসায়ী, স্থানীয় বাসিন্দা সহ সুধী সমাজের অংশগ্রহণে মানববন্ধন সফলভাবে সম্পন্ন হয়, এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ।

Pop Ads

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মহাস্থানের রায়নগর ইউনিয়নের করতকোলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র হানজালা রহমান প্রায় আড়াই বছর যাবত চন্ডিহারা বন্দরে সুনামের সহিত ফাতেমা টেলিকম নামে একটি দোকান খুলে বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করে আসছিলো । কিন্তু গত ০৭-০৭-২২ ইং, বৃহস্পতিবার রাত্রি আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় তার দোকানে জনৈক আব্দুল বাসেদ নামক এক ব্যক্তি বিকাশ থেকে লেনদেন করতে আসেন । উক্ত সময়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।

এর পরপরই রাত্রি আনুমানিক সাড়ে ৯ ঘটিকার সময় কথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মুখচেনা বগুড়া সদরের মথুরা গ্রামের সাইদুর রহমান সাজু (৪৭), পিতাঃ মৃত সলিমউদ্দীন স্বর্নকার,মহাস্থান মোন্নাপাড়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেন এর পুত্র নুরনবী রহমান সহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জন হানজেলার দোকানে এসে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বলে, “তুই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত, তোর দোকানের নিকট থেকে মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে সুতরাং তুইও সাথে জড়িত আছিস।

তুই যদি আমাদের ২০ হাজার টাকা দেস তাহলে তোর নামে কোন নিউজ করবো না। আর যদি টাকা না দেস তাহলে তোর নাম মাদকের তালিকায় যেভাবেই হোক জড়িয়ে দিবো। এছাড়াও তোর নামে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে ফাঁসিয়ে নিউজ করবো। হানজেলা কোনভাবে কখনোই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত না থাকার সৎ সাহস নিয়ে তাদের চাঁদা দাবীকৃত ২০ হাজার টাকা দিতে রাজি না হলে তারা হানজেলাকে এর পরিনাম ভাল হবেনা বলে শাসিয়ে ও হুমকি ধামকি দিয়ে যায়।

পরবর্তীতে হানজালাকে মাদক ব্যবসায়ী উল্লেখ করে প্রতিহিংসাবশত মিথ্যা, ভুয়া, বানোয়াট, ভিত্তিহীনভাবে নিরীহ হানজেলার অনুমতি ব্যতীত গোপনে তার ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিবাদীরা একে অপরের সহযোগিতায় Md Saidur Rahman Shaju, Md Goljar, Nurnobi Rahman সহ বিভিন্ন ফেসবুক আইডিতে অসৎ উদ্দ্যেশ্যে পোস্ট করে প্রপাগাণ্ডা চালিয়ে তাকে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার পাশাপাশি তার মান সম্মান ক্ষুণ্ন করে।

প্রকৃতপক্ষে সে একজন সহজ সরল আইন মান্য করা ব্যক্তি। শুধুমাত্র মোটা অংকের চাঁদা না দেওয়ায় তাকে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে যেভাবে তার আত্মমান, সম্মানহানি করা হয়েছে আমরা সেইসকল চাঁদাবাজ ব্যক্তিদের যথাযথ বিচার চাই। ব্যবসায়ীরা তাদের বক্তব্যে আরও বলেন, কতিপয় হলুদ সাংবাদিক নামধারী ব্যক্তিরা যেভাবে নিরীহ সহজ সরল হানজেলাকে মাদক ব্যবসায়ী উল্লেখ করে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিসহ পোস্ট করেছে তাদের দ্রুত গ্রেফতারে করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

পাশাপাশি এই সকল হলুদ সাংবাদিকদের চন্ডিহারা বন্দরে “অবাঞ্চিত” ঘোষণা করা হবে, যাতে করে এরা নিরপরাধ ব্যক্তিদের পুনরায় ফাঁসানোর সুযোগ বা সাহস না পায়। বগুড়া জেলা পুলিশ প্রশাসন সহ জেলার বিভিন্ন গোয়েন্দা দপ্তরের সদস্যরা যাতে করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই নামসর্বস্ব প্রতারক চক্র ও অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসে তার দাবী জানান বক্তারা। অন্যথায় ভবিষ্যতে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

এইসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, চন্ডিহারা জ্ঞান চর্চা সংগ্রহ কর্মশালার সভাপতি আল-আমিন, চন্ডিহারা বন্দরের বিশিষ্ট পল্লী চিকিৎসক আব্দুল ওহাব, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ, আব্দুল হাকিম, মাষ্টার মোমিনুল ইসলাম বাবু, আলতাফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, সাবলু মিয়া, রায়হান আলী, পারভেজ হাসান, ভুট্রো মিয়া, রাশেদ হোসেন, সহিদ ইসলাম সহ এলাকার যুব সমাজ, বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।