সুপ্রভাত বগুড়া (আবদুল ওহাব, শাজাহানপুর বগুড়া প্রতিনিধি): বগুড়ার শাজাহানপুরে প্রকাশ্যে দিবালোকে সংঘটিত তিনটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী আওয়ামী লীগের দুই নেতা ও এক কর্মী। বুধবার ১০ জুন শাজাহানপুর থানাসুত্রে এসব তথ্য জানাযায়।
জানাগেছে, বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ মিস্টার (৩২)কে ৫ জুন প্রকাশ্যে দিবালোকে উপজেলার শাকপালা বাসষ্ট্যন্ডে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ৬ জুন শাজাহানপুর থানায় নিহত মিস্টারের পিতা আরমান আলী বাদী হয়ে জেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শেখকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলাটি তদন্ত করছে বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার ইনচার্জ আসলাম আলী।
গত ৪ এপ্রিল উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের মাথাইল চাপড় গ্রামে দিনে দুপুরে ইউসুফ আলীর পুত্র আবু বক্কর সিদ্দিক(২৭)কে খুন করা হয়। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা টিপু সুলতানকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামে লুৎফর রহমানের পুত্র আলমগীর হোসেন (৩৩) নৃশংসভাবে খুন হলে শাজাহানপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জুলকার নাইমকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের হয়।
এভাবে একের পর এক সংঘটিত চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডে আওয়ামীলীগ নেতারা জড়িত বলে মামলাগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আজ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি কেহই। তারা সকলেই রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে মিষ্টার হত্যা মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা জেলা পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার ইনচার্জ আসলাম আলী জানান, ফিরোজ নামে এক আসামীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
টিপু সুলতান হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রী সুশান্ত কুমার জানান,আসামিদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া চলছে।
চাঞ্চল্যকর আলমগীর হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ওবায়দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রধান আসামি জুলকার নাইম বাদে অন্যসব আসামিরা জামিনে রয়েছে। তবে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
তবে একাধিক সুত্র জানায়, এসব মামলার প্রধান আসামীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী নিহত নেতা মিষ্টার ৪ টি খুন সহ ৯ টি মামলার আসামি এবং তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিলেন। আর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও এসব মামলার প্রধান আসামীদেরকে আজ পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।