সুপ্রভাত বগুড়া (আবদুল ওহাব বগুড়া প্রতিনিধি): বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে এসএসসি পরীক্ষার্থী শ্যালিকা (১৬) কে অপহরণ মামলায় ভগ্নিপতি আবদুল কুদ্দুসকে (৩১) ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাকে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি আশেকুর রহমান সুজন ও এজাহার সূত্র জানাযায়, গুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পীরব বাজার এলাকার বুলু সরদারের মেয়েকে বিয়ে করেন পাশ্ববর্তী নড়াইল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আবদুল কুদ্দুস।
বিয়ের পর থেকে তিনি শ্যালিকার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন। স্ত্রী আট মাসের অন্তঃস্বত্তা থাকা অবস্থায় কুদ্দুস গত ২০১৫ সালে ৩ জানুয়ারি প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে পীরব বাসস্ট্যান্ড থেকে শ্যালিকাকে অপহরণ করেন। তাকে প্রথমে ঢাকায় নেওয়া হয়। এরপর চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে রাখা হয়।
এ বিষয়ে অপহৃতার বড় ভাই শফিকুল ইসলাম ওই বছরের ৯ জানুয়ারি শিবগঞ্জ থানায় ভগ্নিপতি কুদ্দুস’সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ ৭ ফেব্রæয়ারি ময়মনসিংহ থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামি ভগ্নিপতি কুদ্দুসকে গ্রেফতার করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার এসআই আবদুল বাশির ২৪ এপ্রিল আদালতে শুধু ভগ্নিপতি কুদ্দুসের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। আসামি আবদুল কুদ্দুস জামিনে ছাড়া পেলেও সোমবার আদালতে হাজির ছিলেন। আদালত রায় ঘোষণার পর তাকে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট তানজিদা খাতুন উপমা মামলা পরিচালনা করেন।