বগুড়ায় মুক্তিযুদ্ধা কর্তৃক অন্যের পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

বগুড়ায় মুক্তিযুদ্ধা কর্তৃক অন্যের পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন। - সুপ্রভাত বগুড়া

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ায় সূত্রাপুর মৌজায় মুক্তিযোদ্ধা কর্তৃক অন্যের পৈত্রিক সম্পত্তি গ্রাস করার অসৎ উদ্দ্যেশের কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার ২২শে মার্চ সকাল ১২ ঘটিকায় বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী তালুকদার পাড়ার মৃত সোলাইমান আলী তালুকদার এর ছেলে মোঃ মাহবুব হাসান আরজু ও তালুকদার পাড়ার নিবাসি কয়েকজন এই অভিযোগ করেন।

জনাব মোঃ মাহবুব হাসান আরজু’র পক্ষে তার বড় ছেলে রাকিবুল হাসান শান্ত লিখিত বক্তব্যটি পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সূত্রাপুর মৌজার অন্তর্ভুক্ত আমার বসতবাড়ির মোট ১১ দশমিক ০৫ শতাংশ জায়গা হতে আমার বাবা মৃত সেলাইমান আলী তালুকদার ০২ দশমিক ০৫ শতাংশ জায়গা মৃত আব্দুল্লাহ’র নিকট বিক্রয় করিয়াছে। বাকি ০৯ শতাংশের মধ্যে রাস্তা বাবদ ০২ শতাংশ বাদ দিয়ে ০৭ শতাংশ অবশিষ্ট থাকে।
আমরা ০৪ ভাই ও ০১ বোনের মধ্যে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সুষ্ঠ ভাবে বণ্ঠন করে ভাইয়েরা প্রত্যেকে ০১ দশমিক ৩৬ শতাংশ অংশ জমি পাই এবং আমাদের একমাত্র বোন ০০ দশমিক ৮৮ শতাংশ জমি ভাগে পায়।
উল্লেখ্য যে, ভাইদের মধ্যে শুধুমাত্র আমারই ০২ টি পুত্র সন্তান রয়েছে।

Pop Ads

এদিকে আমার অবিবাহিত মেজ ভাই এর মৃত্যুর পরে তার অংশের জমি আমার ভাগে আসে। আমার অন্য ভাইরাও পরবর্তীতে মৃত্যুবরন করেন। তাদের ভাগে ০১ দশমিক ৩৬ শতাংশ অংশ করে জমি থাকার কথা থাকলেও আমার সেজ ভাইয়ের স্ত্রী মোছাঃ আসমা জাহান রিনা দলিল জালিয়াতি করে ০২ শতাংশ জমি পাওয়ার কথা বলিয়া বেড়াচ্ছে। আমার সেজ ভাই মৃত মাহমুদ হাসান রমু’র মৃত্যুর পরে তার স্ত্রী মোছাঃ আসমা জাহান রিনা দীর্ঘদিন যাবৎ জাকারিয়া নামে একজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে অবৈধ মেলামেশার সম্পর্ক তৈরি হয়। একপর্যায়ে সমাজের চাপে তারা কথাকথিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

এহেন কাজের ফলে মুক্তিযোদ্ধা জাকারিয়া তার পরিবার থেকে বিতাড়িত হয়ে মোছাঃ আসমা জাহান রিনা কে সাথে নিয়ে আমার ভাইয়ের বাসায় বসবাস করেন। পরবর্তীতে মোছাঃ আসমা জাহান রিনা তার বড় বোন সালেহা বেগম ও তার বিবাহিতা ছোট মেয়ে তুলি (তার স্বামী কে, কোথায় থাকে, কি তার পরিচয় তা ০৪-০৫ বছরেও এলাকাবাসির জানা নেই) সহ আমার ভাইয়ের বাসা দখল করে রাখে।

মোছাঃ আসমা জাহান রিনা এবং ঐ বাড়িতে অবস্থানরত লোকজন প্রতিবেশীদের কে বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ের অপব্যবহার করিয়া বিভিন্ন রকম অত্যাচার-জুলুম করিয়া থাকে। গত ২০শে মার্চ ২১ইং তারিখে প্রতিবেশি মাধ্যমে খবর পাই যে, মোছাঃ আসমা জাহান রিনা আমার অংশের ০ দশমিক ৫০ শতাংশ জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মান কাজ শুরু করিতেছে। আইন অনুযায়ী আমার মৃত ভাইয়ের অংশ ০১ দশমিক ৩৬ শতাংশ জমি রয়েছে।

মোছাঃ আসমা জাহান রিনা তার অংশের চেয়েও অতিরিক্ত ০ দশমিক ৫০ শতাংশ জায়গা আমার অংশ থেকে অবৈধভাবে দখল করিতে নিলে তৎক্ষনাৎ আমার পরিবার ও নিকট আত্মীয়সহ আমারা বাধা প্রদান করিতে নিলে রিনা তার কথিত মুক্তিযোদ্ধা স্বামী জাকারিয়া, তার ছোট মেয়ে তুলি ও তার বড় বোন সালেহা (যিনি সারা বছর আমার ভাইয়ের বাসায় অবস্থান করে) সকলে মিলিয়া আমার পরিবার, আত্মীয় স্বজন, ভাই ভাতিজা ও তাদের স্ত্রীদের ওপরে শারিরিক ভাবে হামলা করে জখম করে।

এরপর রিনা তার কথিত তৃতীয় স্বামীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়ের অপব্যবহার করিয়া বিভিন্ন রকম হুমকি-ধামকি দিয়া হেনস্থা করে এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদান করে এবং কথায় কথায় মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে নালিশ করে। এমতাবস্থায় আমার বড় ছেলে আমার পরিবারের উপরে হামলার বিষয়ে সংকিত হইয়া নিরাপত্তা ও বিচার চেয়ে গত ২০ তারিখে দুপুর ০২ ঘটিকায় সদর থানায় গিয়ে আসমা জাহান রিনা’র বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রদান করে।

এরপর ২১ তারিখে আমরা জানতে পারি যে, সে তাহার মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় ব্যবহার করিয়া বিভিন্ন মহলে নালিশ প্রদান শেষে সদর থানায় আমার নিরাপরাধ ভাতিজা মোঃ নাহিদুজ্জামান নিশাদ, তার স্ত্রী মোছাঃ সিমা, আমার খালাতো ভাইয়ের স্ত্রী রিজভী, তার ছেলে সামিউক হক ও আমাদের নিকট আত্মীয় মোঃ কমল ও আমার নামে অভিযোগ করে।

এখানে উল্লেখ্য যে, আমার জায়গার অবৈধ দখল আটকাতে আমি আমার নিকট আত্মীয় ভাই ভাতিজা কে ডেকে ছিলাম, তাদেরকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে গত ২১ তারিখে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ রিনাদের অনুমতি বিহীন স্থাপনা নির্মান কাজ বন্ধের নোটিশ প্রদান করিলে তারা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে সহ আমার নিকট আত্মীয়দের কে নানা রকম হুমকি-ধমকি প্রদান করে।

এমতাবস্থায়, ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে তাদের অত্যাচারে নির্যাতিত এলাকাবাসি আমার সাথে একত্রিত হয়ে তাদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করে যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, টিভি চ্যানেল ও অনলাইন মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে।
কিন্তু এতেও তাদের হুমকি-ধমকি না থামার দরুন আজ আমি সেজন্য গণমাধ্যম ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ বগুড়া জেলার পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সহযোগিতা কামনা করছি।

নিবেদক- মোঃ মাহবুব হাসান আরজু,
পিতা- মৃত সোলাইমান আলী তালুকদার, সাং- সেউজগাড়ী, বগুড়া সদর, বগুড়া।
মোবাইল নং- ০১৭২৯-৭৬১৬৯১