বগুড়ায় যুবলীগ নেতা হত্যার আসামীকে হত্যা !!

বগুড়ায় যুবলীগ নেতা হত্যার আসামীকে হত্যা। ছবি-আবদুল ওহাব

সুপ্রভাত বগুড়া (আবদুল ওহাব শাজাহানপুর, বগুড়া প্রতিনিধি): মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে বগুড়ায় আজ আবারও প্রকাশ্যে দিবালোকে যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে এবার খুন করা হয়েছে শহরের সাবগ্রাম যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান মানিককে কুপিয়ে হত্যা সহ দুটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী শাকিল (৩৫) নামে এক যুবককে।

নিহত শাকিল শহরের উত্তর চেলোপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তবে কিছুদিন ধরে ধাওয়াপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন। আজ শুক্রবার ১২ জুন বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বগুড়া শহরের আকাশতারা এলাকায় পুনরায় এ হত্যাকান্ডটি ঘটে।

Pop Ads

গত শুক্রবারও একই সময়ে বগুড়া শাজাহানপুরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের উপকণ্ঠ শাকপালা বাস ষ্ট্যান্ড চত্বরে প্রকাশ্যে দিবালোকে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ ওরফে মিস্টারকে (৪০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, শহরে আল আমিন নামের এক যুবকের স্ত্রীর সঙ্গে শাকিলের সম্পর্ক ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পরকীয়ার জেরে পথের কাঁটা সরিয়ে দিতে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৫ সালে বগুড়া শহরের উপকণ্ঠ সাবগ্রাম এলাকায় যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মানিককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় রাতুল ইসলাম নামের তাঁর এক সহযোগীকেও কুপিয়ে আহত করা হয়।

মনিরুজ্জামান মানিক বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবগ্রাম বন্দর যুবলীগের সভাপতি এবং রাতুল যুবলীগের কর্মী ছিলেন। এই হত্যা কান্ডের মামলায় অন্যতম আসামি ছিলেন শাকিল।

এছাড়াও ২০০৯ সালে চেলোপাড়া এলাকায় রাব্বী হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামি ছিলেন শাকিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শহরের আকাশতারা এলাকায় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাকিলকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

উল্লেখ্য এর আগে গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শহরের উপকণ্ঠ শাকপালা মোড়ে মসজিদ চত্বরে প্রকাশ্যে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ ওরফে মিস্টারকে (৪০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

তাঁর বিরুদ্ধেও ২০১৩ সালের ২৬ মে শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রামে যুবলীগ নেতা মজনু এবং তাঁর ভাতিজা নাহিদকে কুপিয়ে হত্যা মামলা ছাড়াও চারটি হত্যাসহ নয়টি মামলা রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here