স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোঃ সিরাজ বলেছেন, বিএনপি স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতিক চায় না। কারন এতে স্থানীয়ভাবে বিভাজান বা বিভক্তি সৃষ্টি হয়। কিন্তু সরকার দলীয় প্রতিকে নির্বাচন জোর করে চাপিয়ে দিয়েছে। তাই জনপ্রিয় প্রার্থীরা দলের মনোনয়ন নিতে আগ্রহ দেখান না। তারা এখনও স্বতন্ত্র নির্বাচন করে জয়ী হন। তিনি বলেন, জনবান্ধব, কর্মীবান্ধব এবং যোগ ও বিএনপি তৃনমূলের পছন্দ ও জনপ্রিয়দের মনোনয়ন দেবে।
এ জন্য বিভিন্নভাবে জরীপ কাজ চলছে। জনবান্ধব, কর্মীবান্ধব এবং যোগ্য প্রার্থী বাছাই করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। ‘আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে মানুষ মুক্তি চায়, মামলা-হামলা দিয়ে আর যাই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। দেশের শান্তিকামী মানুষকে স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার আদায়সহ জালিম সরকারের পতন ঘটানোর জন্যই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। অবৈধ ক্ষমতার মোহ ফ্যাসিবাদী সরকারকে অন্ধ করে দিয়েছে। তারা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি দলের প্রার্থী বিজয়ী করতে ওইক্যবদ্ধভাবে সবাইকে কাজ করার আহবান জানান।
তিনি সোমবার সকালে বগুড়া জেলা বিএনপি আয়োজিত জেলার ৯টি পৌরসভা নির্বাচনে দলের মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাথে দলীয় কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম, ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, আসন্ন বগুড়া পৌরসভার বিএনপি মনোনিত মেয়র প্রার্থী জেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি ও আহŸায়ক কমিটির সদস্য রেজাউল করিম বাদশা,
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, জেলা বিএনপির আহŸায়ক কমিটির সদস্য আহসানুল তৈয়ব জাকির, এম আর ইসলাম স্বাধীন, হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, কেএম খায়রুল বাশার, সহিদ উন নবী সালাম, শেখ তাহা উদ্দিন নাইন, মনিরুজ্জামান মনি, ৯টি পৌরসভা নির্বাচনে দলের মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
এসময় উপস্থিত বগুড়া জেলা যুবদলের আহŸায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এ বি এম মাজেদুর রহমান জুয়েল, যুগ্ম আহবায়ক সরকার মকুল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যানসহ ৯টি পৌর বিএনপির আহবায়ক ও যুগ্ম আবায়ক এবং জেলা নেতৃবৃন্দ।