সুপ্রভাত বগুড়া (আন্তর্জাতিক): করোনা ভাইরাস শনাক্তের তালিকায় বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লাখ। দেশটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ৭৯ হাজার ৫৩৩ জনের।
ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৬৫০ জন যা আগের দিন ছিল ২৬ হাজার ৫৪৯ জনে। তিন দিন আগে আক্রান্তের এ সংখ্যা ছিল ৪৩ হাজার ৮২৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭১৬ জন যা আগের দিন ছিল ৮৮৫ জন।
৮৮৫ জনের সংখ্যাটাও পূর্বের দিনের তুলনায় প্রায় ৫০০ কম। জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল আটটা) জানানো হয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে ৮ হাজার ৩১৮ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৪৯ হাজার ১৩৪ জন। আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। শুধু ব্রাজিলই নয় গোটা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোও করোনার ভয়াবহতা দেখছে।
প্রতিদিনই রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমিত হচ্ছেন। এতে করে করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করছে দেশগুলোর সরকার। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে নিচ্ছে নানা মুখি পদক্ষেপ।
ফলে এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও আর্জেন্টিার মতো দেশগুলোতে অনেক অর্থনৈতিক কার্মকাণ্ড চালু রয়েছে। এর মধ্যে ব্রাজিলে সবচেয় ভয়াবহ অবস্থায়। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশটিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে। অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বিতীয় দফায় করোনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ভাইরাসটির এখন প্রধান কেন্দ্র ব্রাজিল। যা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। যার ভয়াবহতার শিকার পেরু ও চিলির মতো দেশগুলো।
যার প্রত্যেকটিতে আক্রান্ত দুই লাখ ছাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দেশগুলোতে সংক্রমণ এখনও চূড়ায় পৌঁছেনি। অর্থাৎ এই চারটি দেশে আগামীতে আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিতে যাচ্ছে করোনা।
সংক্রমণের হারে ৬ষ্ঠ স্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে আক্রান্ত ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫৯০ জন। যেখানে মৃতের সংখ্যা ১৩ হাজার ১৮৭ জন। এ অঞ্চলের আরেক ভুক্তভোগী চিলিতেও সংক্রমণ ৩ লাখ ৪৪ হাজার ২২৪ জন। এর মধ্যে ৮ হাজার ৫০৩ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।
মেক্সিকোয় আক্রান্ত ৩ লাখ ৪৪ হাজার ২২৪ জন। প্রাণ গেছে ৩৯ হাজার ১৮৪ জনের। কলম্বিয়ায় ১ লাখ ৯৭ হাজার ২৭৮ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যেখানে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৬ হাজার ৭৩৬ জন। আর্জেন্টিায় সংক্রমিতের সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৫৫।
মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২৬০ জনের।উল্লেখ্য, একদিনে বিশ্বেও করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ১৯ হাজারের বেশি। এ নিয়ে বিশ্বে মোট শনাক্ত ১ কোটি ৪৬ লাখের বেশি। করোনা মহামারিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ৬ লাখ ৯ হাজার মানুষ।
আর সুস্থ হয়েছেন ৮৮ লাখের বেশি মানুষ। গত ১১ মার্চ করোনা ভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে গেল বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে মানবদেহে প্রথম এ ভাইরাসটি ধরা পড়ে।