বয়সের কোঠা পঞ্চাশেও আবেদনময়তায় ঘাটতি নেই ঋতুপর্ণার !

বয়সের কোঠা পঞ্চাশেও আবেদনময়তায় ঘাটতি নেই ঋতুপর্ণার !

সুপ্রভাত বগুড়া (বিনোদন): টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তাকে পশ্চিমবঙ্গের আবেদনময়ী অভিনেত্রীও বলা চলে। ১৯৯২ সালে প্রথম তিনি সিনেমা জগতে পা রাখেন।  প্রভাত রায়ের ‘শ্বেতপাথরের থালা’ ছিলো তার প্রথম অভিনীত সিনেমা। তারপর থেকে আর থেমে নেই তিনি। একের পর এক অভিনয় করেছেন প্রায় শতাধিক বাংলা ও হিন্দি সিনেমায়।

হয়ে উঠেছেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ‘লংগেস্ট সার্ভাইভিং’ হিরোইন। বাংলাদেশের সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন ঋতু। ১৯৯৭ সালে ‘স্বামী কেন আসামী’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে পদার্ণপ তার। বাঙালি এ অভিনেত্রীর জন্মদিন আজ (৭ নভেম্বর)। ১৯৭০ সালের আজকের এ দিনে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ৫০ বছরের পা দিয়েছেন দুই বাংলার আলোচিত এ অভিনেত্রী। জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছায় ভাসছেন তিনি।

Pop Ads

বর্তমানে সিঙ্গাপুর অবস্থান করছেন ঋতু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্ত, শুভাকাঙ্খীরা শুভেচ্ছা জানাছেন তাকে। লেডি ব্রাবোর্ন কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক করে ঋতু ভর্তি হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাবিভাগে। কিন্তু অভিনয়ের জন্য ইতি টানেন পড়াশোনায়। অভিনয়ের বাইরে বর্তমানে ঋতুপর্ণা বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ এবং লেখালেখির সঙ্গেও জড়িত।

অসাধারণ অভিনয় আর নিজের রূপ লাবণ্যের গুণে খুব অল্প সময়ে দর্শকহৃদয়ে জায়গা করে নেন ঋতুপর্ণা। একাধিক ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিয়ে হয়ে উঠেছেন পরিচালক-প্রযোজকদের আস্থাভাজন। লম্বা ক্যারিয়ারে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জীর সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে ৫২টি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন ঋতু। ১৯৯৭ সালে ঋতুপর্ণ ঘোষের সিনেমা ‘দহন’ তাকে জাতীয় পুরস্কার দেয়।

পাশপাশি অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখে সিনেমাটি। ঋতু অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘আলো’ থেকে শুরু করে ‘চাঁদের বাড়ি’, গৌরি’, ‘মুক্তধারা’, ‘প্রাক্তন’ এবং ‘দৃষ্টিকোণ’ আবেগে তাড়িত করেছে বাংলা সিনেমাপ্রেমীদের।

পাশাপাশি প্রমাণ করেছেন মূল ধারার পাশাপাশি সমান্তরাল সিনেমার ক্ষেত্রেও সাবলীল তিনি। ১৯৯৯ সালে ছোটবেলার প্রেমিক সঞ্জয় চক্রবর্তীকে বিয়ে করেন ঋতু। এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে এ দম্পতির। আউটডোর খেলাধুলার সঙ্গেও জড়িত ঋতুপর্ণা। অবসরে তিনি ব্যাডমিন্টন খেলেন বলেও জানা গেছে।