ভারত চীন সীমান্তের গ্রামে এই প্রথম বর্ডার ইনটেলিজেন্স পোস্ট বা বিআইপির অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় সরকার। মনে করা হচ্ছে বেইৃজিংয়ের প্রতি নজর রাখার জন্যই এই বিআইপি তৈরি করা হচ্ছে। মূলত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চীনের সামরিক কার্যকলাপ সম্পর্কে নজর রাখার জন্য এ পোস্ট তৈরি করা হল।
বিআইপিতে মূলত গোয়েন্দাদের মোতায়েন করা থাকবে। আর্মি ও ইন্দো তিবেতান সীমান্ত পুলিশের সঙ্গে সমণ্বয় রেখে তারা কাজ করবেন। ন্যাশানাল টেকনিকাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন, ইনটেলিজেন্স ব্যুরো ও রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানিলিসিস উইং সহ বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গে সমণ্বয় রেখে এই কাজ করা হবে। চাইনিজ পিপলস লিবারেশন আর্মির কাজকর্মের উপর নজর রাখবে ভারত। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
এক শীর্ষ কর্মকর্তার মতে, আইটিবিপির বর্ডার আউটপোস্টের কাছেই থাকবে এই বিআইপি। সেখানে ৪-৫জন গোয়েন্দা কর্মকর্তা থাকবেন। কোথাও কোনও অস্বাভাবিক কিছু হলে তার রিপোর্ট তারা পাঠিয়ে দেবেন সরকারের কাছে। বর্তমানে লাদাখ থেকে অরুণাচল পর্যন্ত ইন্দো চীন সীমান্তে ১৮০টি বিওপি আছে। এই বছরের প্রথম দিকে ৪৭টি অতিরিক্ত বিওপি ও ১২টি স্টেজিং ক্যাম্প ছিল। সেখানে ৯৪০০জনকে মোতায়েন করা ছিল।
তবে বিআইপি কতগুলি হবে তা নিয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি। তবে সূত্রের খবর, সেখানে প্রশিক্ষিত গোয়েন্দাদের মোতায়েন করা হবে। এদিকে চীন সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দিচ্ছে। নানা সন্দেহ দানা বাঁধছে। সেই নিরিখে এবার জবাব দিল ভারতও। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস