ভাসানচরেই ঠাঁই হয়েছে ২৮০ ভাসমান রোহিঙ্গার

সুপ্রভাত বগুড়া ডেস্ক: প্রায় এক মাস ধরে বঙ্গোপসাগরে ভাসতে থাকা নৌকা থেকে ২৮০ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে (পৃথককরণ) ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মাহবুব আলম তালুকদার।

তিনি বলেন, ‘নৌকার ২৮০ জনকে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গত রাতে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমার কাছে এর বেশি তথ্য নেই।’ সাগরে ভাসতে থাকা বা সমুদ্রে এ ধরনের যাদের পাওয়া যাবে তাদের ভাসানচরে পাঠানো হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
 
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, ভাসান চরে পাঠানো রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১৮০ জন নারী, ৯৭ জন পুরুষ ও বাকিরা শিশু। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ব্যবস্থাপনায় ভাসানচরে এখন পুলিশ পরিদর্শক, সহকারী পুলিশ পরিদর্শক ও কনস্টেবল মিলিয়ে ৪৯ জন পুলিশ সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।’

Pop Ads

রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ভাসানচর রোহিঙ্গা পুনর্বাসন ক্যাম্প স্বপ্নপুরীতে রাখা হচ্ছে। বুধবার গভীর রাতে বাংলাদেশের জলসীমায় রোহিঙ্গাদের বহনকারী ওই কাঠের নৌকাটি ভাসতে দেখা যায়।

এরপর নৌকাটিকে বৃহস্পতিবার নিয়ে যাওয়া হয় নোয়াখালীর ভাসানচরে, যেখানে এর আগে আরও ২৮ রোহিঙ্গাকে পাঠানো হয়েছিল গত ৪ মে। নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, এই রোহিঙ্গারা অভুক্ত ছিলেন এবং তারা তাদের খাবার ও পানি দিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here