ভাড়ার নাম করে ভিডিও ক্যামেরা লন্ঠন, দস্যু চক্রের ৫ জন গ্রেফতার!

ভাড়ার নাম করে ভিডিও ক্যামেরা লন্ঠন, দস্যু চক্রের ৫ জন গ্রেফতার!

ওরা দিনে ব্যবসায়ী রাতে দস্যু। সারাদিন ভিডিও ব্যবসা নিয়ে কাটালেও সন্ধার পর হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর দস্যু। নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার রাশেদুল হক এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেব এর তত্বাবধানে ওসি (তদন্ত) অর্পন কুমার দাসের নেতৃত্বে এসআই জাফর আহমেদ ও কনস্টেবল শহিদুল সঙ্গীয় ফোর্সসহ নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে লুন্ঠিত মালামালের মধ্যে ৩টি ক্যামেরা উদ্ধারসহ দস্যু চক্রের ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে ১৬ মার্চ কনক (কনক ভিডিও ল্যাব) অজ্ঞাত ৪ জনকে আসামি করে পত্নীতলা থানায় মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতাররা হলেন, রাজিব পরিচয় দানকারী মমিনুল ইসলাম আকাশ (৩২) সোহেল রানা (৩৭) সোহান (১৯) (পিতাপুত্র) মেহেদি হাসান বাচ্চু (২৮) আরাফাত হোসেন (২৩) এরা সবাই সাপাহারে ভিডিও ব্যবসায় জড়িত। মামলাসূত্রে জানাযায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারী দুপুরে বগুড়া শহরের সাতমাথার অদুরে ভিডিও ব্যবসায়ী কনকের (কনক ভিডিও ল্যাব) মুঠোফোনে কল আসে। নওগাঁ সাপাহার শিসাহাটিতে বিয়ের অনুষ্ঠান ভিডিও করতে চাই। সিনেমাটিক ভিডিও করতে হবে তার জন্য সবচেয়ে দামি উন্নত আধুনিক ক্যামেরা চাই ভাড়ার বিষয় চিন্তা করবেন না আমি জানি কত দিতে হবে।

Pop Ads

মুঠোফোনে এমন কথাই বলছিলেন ওপাশে থাকা ব্যক্তি রাজিব। যথারিতি সব মৌখিক চুক্তি মিটিয়ে এখন ক্যামেরাম্যান সহ বিয়ের অনুষ্ঠান ভিডিও করতে লোক পাঠানোর পালা। গত ২৮ ফেব্রুয়ারী দুপুরে দুজন ক্যামেরাম্যানসহ ১টি প্যানাসনিক বড় ভিডিও ক্যামেরা ২টি ডিএসএলআর ক্যামেরা পাঠানো হলো নওগাঁ জেলার সাপাহার শিসাহাটি এলাকায়।

তখন রাত ৮ টা নাগাদ বাস থেকে নেমে কাঙ্ক্ষিত ব্যাক্তির মুঠো ফোনে কল দেয় ক্যামেরাম্যান আল আমিন সাথে নাদিম। রাজিব নামের ব্যাক্তি আসে সাথে ২টি মোটরসাইকেলে ৪ জন। আলআমিন ও নাদিম তাদের মোটরসাইকেলে চেপে রওনা করে বিয়ে বাড়ির উদ্যেশে। আধা ঘন্টার মতো পথ চলে বিয়ে বাড়ির দেখা মেলে না। নাদিম বলে ভাই বিয়ে বাড়ি কতদুর মোটরসাইকেলে বসা একজন বলে সামনে বাগান তারপরেই। অন্ধকার সুনসান রাত আম বাগানে মোটরসাইকেল থামায় ওরা।

তারপর তাদের কাছে থাকা ধারালো অস্ত্র (চাকু) বের করে গলায় ধরে দুজনের প্রানে মারার ভয় দেখিয়ে লুটে নেয় ৩টি ক্যামেরা ২টি এন্ড্রয়েড মোবাইল যার বাজারে আনুমানিক দাম আড়াই লাখ টাকা এবং গায়ে থাকা নতুন জ্যাকেট হাতের স্মার্ট ঘড়িসহ সর্বস্ব। পরে আমগাছ মাঝে রেখে দুজনের হাত বেঁধে লুটে নেয়া মালামালসহ মোটরসাইকেলে চেপে পালিয়ে যায় তারা।

এবিষয় নিশ্চিত করে নওগাঁ পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেব জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন শেষে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে জেলখানায় প্রেরন করা হয়েছে।