রুহিয়ায় টাংগন নদীর অবৈধ ভাবে বালু বিক্রীর মহা উৎসব

রুহিয়ায় টাংগন নদীর অবৈধ ভাবে বালু বিক্রীর মহা উৎসব। ছবি-আকাশ

সুপ্রভাত বগুড়া (আকাশ রহমান, রুহিয়া, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি): ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানাধীন রাজাগাঁও ইউনিয়নের দঃ আসানগড় কদম বাগান সংলগ্ন টাংগন নদীর, পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নদী খনন কাজের উত্তোলন কৃত বালু বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নদী খনন করার (ডায়েজ) পাড় কেটে বালু বিক্রি করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ রানা (সোনা মিয়া) এর ছোট ভাই দুদু মিয়া।

ইউপি সদস্য মাসুদ রানার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার ছোট ভাই ব্যক্তিগত এক একর জমির উপরে নদী খনন করার বালু ফেলায় জমি টা পরিস্কার করার জন্য সে বালু বালু বিক্রি করছে। বালুর ব্যবসায়ী দুদু মিয়া প্রতিনিয়ত মহেন্দ্র ট্রাক্টর এর মাধ্যমে বালু বিক্রি করছে। এলাকা বাসী সূত্রে জানা যায়, দুদু মিয়া, আনার আলি, হারুন সহ বেস কয়জন মিলে অবৈধ ভাবে বালু প্রতিনিয়ত বালু বিক্রি করে আসছে যার প্রতি ট্রক্টরের দাম ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং বালু বিক্রিকৃত ট্রাক্টর এর জন্য রাস্তায় খাল খন্দকে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে।

Pop Ads

এ বিষয় বালু ব্যবসায়ী দুদু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জমির উপরে বালু ফেলছে তাই আমি বালু বিক্রি করি, তিনি আরো বলেন, আমি এ বিষয় অত্র এলাকার চেয়ারম্যান মোশারুল ইসলাম সরকার এর কাছে মৌখিক ভাবে অনুমতি নিয়েছি। পরে, চেয়ারম্যান মোশারুল ইসলাম সরকার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি দুদু মিয়ার বালু বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানি না।

নদী খনন কাজের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী মামুন এর সাথে জানতে চাইলে তিনি বলেন দুদু মিয়া সহ স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীদের বার বার সতর্ক করা হলেও তারা কোন কথা শুনছে না তিনি আরও বলেন এখানকার বালু ব্যবসায়ী দুদু মিয়া সহ আরও কয়েকজন এর নামে ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডে অনেক অভিযোগ রয়েছে।

ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ড এর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান খান বলেন, আমরা তো এবিষয়ে কিছুই জানতাম না আপনি অফিসে আসেন আমি অফিসে কথা বলব। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নদীর খনন করার বালু বিক্রি করা সম্পূর্ণ বে-আইনি। তিনি আরো বলেন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here