শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিলেন স্পিকার। এর আগে চলমান বিক্ষোভ মোকাবিলায় শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে মালদ্বীপে পালিয়ে যাওয়ার পর রাজপথে নামে বিক্ষুব্ধরা। এ সময় দ্রুত প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন তারা।
বুধবার দুপুরের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেন বলে জানিয়েছে স্পিকারের কার্যালয়। গণবিক্ষোভের মুখে বুধবার আনুষ্ঠানিক পদত্যাগ করার কথা জানিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত দেশ ছেড়ে মালদ্বীপে পালিয়ে যান তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, ৭৩ বছর বয়সী গোতাবায়া বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৩টার দিকে সামরিক বিমানে করে মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে পৌঁছান ।মালে বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা জানান, মালেতে পৌঁছানোর পর গোতাবায়া তার স্ত্রী এবং দেহরক্ষীদের পুলিশ প্রহরায় রাখা হয়েছে।
তবে নিরাপত্তার খাতিরে তাদের অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানায়নি তারা। গোতাবায়ার দেশ ত্যাগের সাথে ভারতের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছে দিল্লি। যুক্তরাষ্ট্র সরকারও তাকে ভিসা দেয়নি বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মালদ্বীপ পালিয়ে যাওয়ার পর বুধবার সকালে নতুন করে ছড়িয়ে পরে বিক্ষোভ। এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তাদের। প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির বাইরে অবস্থানরত বিক্ষোভকারীদের থামাতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ।
পরিস্থিতি বিবেচনায় জারি করা হয় জরুরি অবস্থা। গোতাবায়ার দেশ ত্যাগের মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে, রাজাপক্ষে পরিবারের এক যুগের শাসনের অবসান ঘটলো। এর আগে তার ভাই সাবেক অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন।