চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে খেলাপি ঋণের হার ১৫ শতাংশের বেশি। এতে উদ্বিগ্ন ব্যাংকাররা। উচ্চ পরিবহন ব্যয়, ডলারের বাড়তি দামসহ বিভিন্ন কারণে ঋণ পরিশোধে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান উদ্যোক্তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ঋণ ফেরতে ব্যর্থ হলে, আর্থিক খাতের ওপর চাপ বাড়বে।
গত দুই বছরে করোনার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। ডলারের বাড়তি দামসহ ব্যবসার বিভিন্ন খরচ বাড়ায় এখনো ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গেল অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত দুই লাখ ৫৯ হাজার ৭০৪ কোটি টাকার ঋণ দেয়া হয়েছে কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মাঝে। যার মধ্যে খেলাপী হয়েছে ৩৯ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা। সময়মতো অর্থ ফেরত না আসলে তারল্য সঙ্কটের আশঙ্কা করছেন ব্যাংকাররা।
বিশ্লেষকরা জানান, করোনার কারণে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা কমে যাওয়ায় চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। তাই এসব উদ্যোক্তাদের সহায়তায় বিশেষ সুবিধার পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানোর তাগিদ তাদের। দেশে বর্তমানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানার সংখ্যা সাড়ে ২৬ হাজার।
এসব কারখানায় কাজ করে ১৫ লাখের বেশি শ্রমিক। এসব প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে ব্যাংকঋণসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। সরকার এই খাতে দুই দফায় ৪০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলেও অনেকেই তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।