সুপ্রভাত বগুড়া্ (আন্তর্জাতিক): চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই অঘোষিত সফরে লাদাখ সীমান্তে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার সকালে বিশেষ বিমানে লাদাখের লেহ ঘাঁটিতে পৌঁছান মোদি। সেখানে ভারতীয় সেনাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন তিনি। পরিস্থিতি সরেজমিন খতিয়ে দেখার পর সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি।
সেনাদের মনোবল বাড়াতে ভাষণে এক দিকে যেমন সেনার বীরত্বের কথা বলেছেন, তেমনই নাম না করে চীনকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। গালগওয়ানে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোদি বলেন, গালওয়ানে যে বীরত্ব আপনারা দেখিয়েছেন, তা সারা দেশ মনে রাখবে। আপনারা গোটা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভারত তথা ভারতীয় সেনার শক্তি কতটা।
আপনাদের সঙ্কল্প এই উপত্যকার চেয়েও শক্ত। আপনাদের ইচ্ছাশক্তি এই পর্বতের মতোই অটল। তিনি বলেন, ইতিহাস সাক্ষী, বিস্তারবাদীরা মুছে গিয়েছে পৃথিবী থেকে। ‘বিস্তারবাদী’ চীনই যে শান্তিভঙ্গ করছে- মোদীর ভাষণে এই বার্তা ছিল স্পষ্ট।
তিনি বলেন, ভারত সবসময় শান্তিতে বিশ্বাসী, তবে মানতে হবে শান্তি কখনো দূর্বলতার লক্ষণ নয়। ভারতীয় সেনাদের সাহস গোটা বিশ্বের কাছে নতুন বার্তা পৌঁছে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সফরে তার সঙ্গে ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান চিফ অব ডিফেন্স জেনারেল বিপিন রাওয়াত ও সেনা প্রধান এম এম নরভণে। আহত সেনাদের দেখতে হাসপাতালে যান এবং জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার।
সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, বৃহস্পতিবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের লাদাখ যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়। কী কারণে রাজনাথের সফর বাতিল হয়েছে, তা নিয়ে নানান জল্পনা-কল্পনা থাকলেও পরদিন যে খোদ প্রধানমন্ত্রীই যে সীমান্তে সেনাদের ‘মনোবল চাঙা’ করতে যাচ্ছেন, তার আভাস পাওয়া যায়নি।
লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) ঘিরে পাঁচ দশকের মধ্যে রক্তক্ষয়ী এ সংঘর্ষের পর পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের সেনা কমান্ডাররা দফায় দফায় বৈঠক করলেও সীমান্তে থমথমে ভাব কাটেনি। উভয় দেশ লাদাখের আশপাশে শক্তি বাড়াচ্ছে বলেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে।