হেমন্তের শুষ্ক বাতাসে ধানের ঘ্রাণ পাওয়ার জো শহরে নেই। তবে শীতের আমেজটা এই সময় পাওয়া যেতে শুরু করে। সমস্যা হলো, আর্দ্র বাতাসেই চুলের সংকট বাড়ে। শুষ্ক চুলের যন্ত্রণা নিয়েই যারা হেমন্তের আবহাওয়াকে দুষছেন তারা চাইলে এই পরামর্শ অনুসরণ করতে পারেন।
হেমন্তের বাতাসের চরিত্র এমন যে আপনার চুল শুষ্ক হয়ে যায়। এই সময় আপনার চুলকে রাখতে হবে ময়েশ্চারাইজড। নিয়মিত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করার পাশাপাশি ডিপ কন্ডিশনিং করতে পারেন।
অনেকে চুলে স্টাইল করতে পছন্দ করেন। চুল স্ট্রেইট, কার্ল, ব্লো ড্রাই করতে গেলে কিছু গ্যাজেট ব্যবহার করতে হবেই। তাপ দিলে চুলে রুক্ষতা চলে আসে। তাই চুলে অতিরিক্ত তাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। গরম পানি চুলের প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে ফেলে। এমনকি নষ্টও করে দেয়। তখন চুল ঝরে পড়ার মতো বিদঘুটে সমস্যা দেখা যায়।
শীতে কেউ চুল ছাঁটাই করার কথা ভাবেন না। কিন্তু ট্রিম করা জরুরি। চুলের আগা শীতে ফেটে যেন না যায় তাই সামান্য ট্রিম করতেই পারেন। তাতে আপনার চুল আরও প্রাণবন্ত হবে।
অনেকেই চুলে তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনীহা দেখান। তেল ব্যবহার করলে মাথা চিটচিটে হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা থাকে। যদিও এমন আশঙ্কা মনে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ তেলের গুণকে চুলের কাজে লাগাতে জানলে এত সমস্যা হয় না। নারকেল তেলই এক্ষেত্রে ভালো। চাইলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যায়। গাজরের তেলও আজকাল ভালো। দু-এক ফোঁটা গাজরের তেল নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। গরম করে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করলে রক্তসঞ্চালন বাড়বে। আপনার চুলও হবে ঘন।