সুপ্রভাত বগুড়া (প্রচ্ছদ): ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি। কিন্তু, চারিদিকে মৃত্যুর মিছিল আর লাশের গন্ধে খুশির পশরা যেন ফিকে হয়ে দেখা দিয়েছে সবার জীবনেই। তাই ঘরবন্দি জীবনের আদলেই পরিবারের মাঝেই সীমাবন্ধ থাকছে এবারের ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বই একটা কঠিন সময় পার করছে। করোনাভাইরাসের কারণে মানবজাতি বেশ বড়সড় স্বাস্থঝুঁকিতে পড়েছে।
সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা এবং লকডাউনের নিয়ম অনুসরণ করেই কেবলমাত্র এই পরিস্থিতি মোকাবেলা সম্ভব। তাই পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে ধর্মীয় নেতারাও এবার ঈদে মানুষকে জনাসমাগম এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। লকডাউনের মধ্যে নিজ নিজ বাড়িতে পরিবার সদস্যদের সঙ্গে নিরাপদ ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে ঘরবন্দী হলেও পরিবারের সকলে মিলে কিছুটা হলেও প্রশান্তির মুহুর্ত্ব কাটাতে পারেন কিঝু বিসয় অনুসরণ করে। আসুন জেনে নেয়া যাক লকডাউনে মধ্যে ঈদ উদযাপনের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো অনুসরণ করতে পারেন। যেমন ধরুন-
বাড়ি সাজানো : ঈদকে একটু রঙিন করতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। এতে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারবেন। পাশাপাশি বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনের অভাব কম অনুভব করবেন।
নিজেকে সাজান : এই ঈদে আপনি নতুন পোশাক কিনতে পারেননি। বাইরেও যেতে পারবেন না । তাকে কি। পুরনো কোন পোশাক পরেই সাজসোজ করুন। এতে কিছুটা হলেও মন ভালো থাকবে।
রান্না করুন : প্রিয়জনদের জন্য মজাদার কিছু বানাতে চেষ্টা করুন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও এই কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করলে আর সবাই মিলে হইচই করে রান্না করলে সময়টা ভালোই কাটবে।
বিনোদনমূলক কিছু দেখুন : পরিবারের সবাই মিলে টেলিভিশনে বা ইন্টারনেটে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান দেখতে পারেন। সবাই মিলে কোনো ভাল সিনেমা দেখলে সময়টা আনন্দে কাটবে।
কিছু খেলুন : পরিবারের সদস্যরা মিলে কোনো ইনডোর গেম খেলার পরিকল্পনা করতে পারেন। লুডু, উনো, বাগাডুলি, বা সেই ছোট বেলার মতো চোর-ডাকাত-বাবু-পুলিশ, গানের লড়াই খেলা নির্মল আনন্দ এনে দিতে পারে।
সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন : আপনি হয়তো সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে ঈদে কারও বাড়িতে বা বাইরে যাচ্ছেন না। অনেকে সেটা না মেনে আপনার বাসায় যদি এসেই পড়ে তাহলে তাকে ফিরিয়ে দেবেন না। বরং সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে তাকে আপ্যায়ন করুন।
তবে, অতিথির সঙ্গে করমর্দন বা কোলাকুলি করা থেকে বিরত থাকুন। কথা বলার সময় অন্তত ৩ ফুট, পারলে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। এ ছাড়া অতিথিকে ঘরে আসার সাথে সাথেই স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে উৎসাহিত করুন। তার সঙ্গে কথা বলার সময় মাস্ক ব্যবহার করুন।