উন্নত প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে এমন কয়েক ডজন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা !!

উন্নত প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে এমন কয়েক ডজন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা !! প্রতিকী-ছবি

সুপ্রভাত বগুড়া (জ্ঞান-বিজ্ঞান): একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী হওয়ার অহঙ্কার আর পৃথিবীর মানুষ করতে পারবে না। অন্তত কয়েক ডজন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যেখানে মানুষের মতো বা তার থেকেও উন্নত ও বুদ্ধিমান প্রাণী বসবাস করার সম্ভাবনা রয়েছে। 

সাম্প্রতিক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, এই অসীম মহাবিশ্বে আমরা একা নই। মিল্কিওয়ে ছায়াপথেই রয়েছে আমাদের মতো অন্তত কয়েক ডজন প্রতিবেশী। শুধু আমরা রয়েছি একটু ছাড়া ছাড়া ভাবে। গ্রহান্তরের জীব নিয়ে মানুষের কল্পনা চিরকালই লাগামছাড়া। 

Pop Ads

এখনও মহাশূন্যের দিকে তাকিয়ে বহু মানুষই মাঝে মধ্যে দেখে ফেলেন উড়ন্ত চাকি, বা অভূতপূর্ব আলোকরেখা। কিন্তু নির্দিষ্টভাবে কোনও গবেষণাই আজ পর্যন্ত পৃথিবী ছাড়াও অন্য গ্রহে প্রাণ রয়েছে এমন নিশ্চয়তা দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। কিন্তু নটিংহ্যাম ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানাচ্ছেন আমাদের ছায়াপথে অন্তত ৩০টি গ্রহে রয়েছে, যেখানে বুদ্ধিমান প্রাণীর বাস।

উন্নত প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে এমন কয়েক ডজন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা !!

তাদের সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্বটা একটু বেশি এটুকুই যা। প্রতিবেশীরা গড়ে ১৭,০০০ আলোকবর্ষের দূরত্বেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। এযাবৎকাল বিজ্ঞানীরা যা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি, সেই কথা এতটা নিশ্চিত করে এখন নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন কী ভাবে? উত্তরটা বিজ্ঞানীরাই দিয়েছেন। এতদিন যে পদ্ধতিতে গ্রহান্তরে প্রাণের সন্ধান করা হতো, বিজ্ঞানীরা সেই পদ্ধতিতে বদল এনেছেন।

তাদের প্রাথমিক অনুমান হলো, যে ভাবে পৃথিবীতে উন্নত প্রাণীর বিকাশ ঘটেছে সেই একইভাবে অন্য গ্রহেও বুদ্ধিমান প্রাণের বিকাশ হবে যদি সেই গ্রহের পরিবেশ পরিস্থিতি পৃথিবীর মতো হয়। অর্থাৎ সেই গ্রহটিকে চরিত্রের দিক থেকে সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর মতো সম দূরত্বে আবর্তিত হতে হবে।

আমাদের ছায়াপথে এরকম অন্তত ৩০টি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর মতোই সেই গ্রহগুলিতেও ৫০০ কোটি বছরই লেগেছে উন্নত জীবের বিকাশের ঘটাতে, এটাও ধরে নিয়েছেন গবেষকরা। এখন প্রশ্ন হল, উন্নত বা বুদ্ধিমান জীব কাদের বলা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যারা মহাকাশে রেডিও তরঙ্গ পাঠাতে সক্ষম তাদেরকেই বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

কিন্তু একই সঙ্গে তারা এ কথাও স্বীকার করে নিচ্ছেন যে, রেডিও তরঙ্গ পাঠিয়ে তার উত্তর জানার পক্ষে ১৭,০০০ আলোকবর্ষ দূরত্বটা একটু বেশি। এখনও এই গ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীদের আয়ত্বে সেরকম কোনও প্রযুক্তি নেই। গবেষকদের পক্ষ থেকে ড. টম ওয়েস্টবি বলেন, ‘নতুন তথ্য ব্যবহার করায় আমাদের ছায়াপথে সভ্যতার সংখ্যা অনুমান অনেক দৃঢ় হয়েছে।’ 

গবেষক দলের নেতা নটিংহ্যাম ইউনিভার্সিটি’র অ্যাস্ট্রোফিজিক্স–এর প্রফেসর ক্রিস্টোফার কনসেলিস জানিয়েছেন, মিল্কিওয়ে ছায়াপথে অন্তত কয়েক ডজন সভ্যতার অস্তিত্ব রয়েছে। তাদের উপস্থিতি তখনই বোঝা যাবে যদি তারা ক্রমাগত নিয়মিতভাবে রেডিও সিগন্যাল পাঠাতে থাকে। 

তাদের গবেষণা অবশ্য শুধুমাত্র গ্রহান্তরে বুদ্ধিমান জীবের অন্বেষণেই নিয়োজিত রয়েছে তা নয়, মানব সভ্যতার ‘ভবিষ্যৎ’ ও ‘ভবিতব্য’ সম্পর্কে একটি ধারণাও তারা করতে চাইছেন বলে জানিয়েছেন গবেষক দলের নেতা প্রফেসর ক্রিস্টোফার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here