অনলাইনে ব্যবসার নামে প্রতারণার ফাঁদ, প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

অনলাইনে ব্যবসার নামে প্রতারণার ফাঁদ, প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

সুপ্রভাত বগুড়া (জাতীয়): অনলাইনে ব্যবসার নামে প্রতারণার ফাঁদ নতুন কিছু নয়। তবে নিজে অনলাইন ব্যবসায়ী হয়ে আরেক অনলাইন ব্যবসায়ীর প্রতারণার ফাঁদে পা দেয়া এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। এমনই এক ফাঁদে পড়ে ৩০ হাজার টাকা খুইয়েছেন এক নারী উদ্যোক্তা। অবশ্য মামলার পর চক্রটির ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের ‘সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ’। ফেসবুকে ‘চায়না টু বাংলাদেশ’, ‘ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট বিডি’ নামে চীনা পণ্য কেনা-বেচার একটি প্ল্যাটফর্ম। কোনও উদ্যোক্তার চীনের পণ্য দরকার কিন্তু আমদানির অনুমতি নেই। তখন তিনি সাহায্য নেন গ্রুপটির।

তেমনই একজন ‘নিরাম বিডি’ নামে ফেসবুক পেইজের সত্ত্বাধিকারী। তার দরকার কিছু ভ্যানিটি ব্যাগ ও কসমেটিক্স। চাহিদা দিয়ে তিনি গ্রুপে পোস্ট দেন। ফিডব্যাকও আসে দ্রুত। মৌ আক্তার রিয়া নামে একজন ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই নারী উদ্যোক্তার সঙ্গে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নিরাম বিডির উদ্যোক্তা বলেন, মৌ আক্তার রিয়া নামে ফেসবুক আইডি থেকে আমাকে নক দেওয়া হয়। এরপর তাকে বিশ্বাস করে মোবাইল ফোনে কথা বলে ৬৫টি ব্যাগ ও কিছু কসমেটিক্স অর্ডার করা হয়।

Pop Ads

তবে তাদের শর্ত অর্ধেক টাকা আগে পরিশোধ করতে হবে। এরপর ২১ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বিকাশে ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করি। তারপর থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ফেসবুকে ব্লক করে দেয়া হয় আমাকে। আর সবগুলো মোবাইল নম্বর বন্ধ করে রাখে। এরপর আমি মামলা দায়ের করি। অনলাইন প্রতারক বিষয়ে পেশাগত অভিজ্ঞতা থেকে ডিবির সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম ডিভিশনের ডিসি মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, চক্রের পাঁচজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আর যারা তাদের মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সহযোগিতা করতেন তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অনলাইন ব্যবসায় যারা আগে টাকা পরিশোধের শর্ত দেয় তাদের বেশিরভাগই প্রতারক। তাই গ্রাহককে সচেতন থাকতে হবে এবং প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নিতে হবে। পুলিশ প্রতারকচক্রটির কাছ থেকে কয়েকটি মোবাইল ডিভাইস ও সিমকার্ড জব্দ করেছে।