আমি খুবই লাকি পারসন : সাদিয়া আয়মান

7
আমি খুবই লাকি পারসন : সাদিয়া আয়মান

ঈদে মুক্তি পাবে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’। টিভি পর্দার এই সময়ের জনপ্রিয় মুখ সাদিয়া আয়মানের প্রথম ছবি এটি। বেশ কয়েকটি ঈদ নাটকেও পাওয়া যাবে তাঁকে। অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।

শুভ জন্মদিন (গতকাল ছিল অভিনেত্রীর জন্মদিন)। কেমন কাটছে দিনটা?
আর বলবেন না! ভোরে ময়মনসিংহ থেকে বাসায় ফিরেছি। মাবরুর রশীদ বান্নাহ ভাইয়ের একটি নাটকের শুটিং ছিল। ঢাকায় ফেরার পর দেখি, আমার বন্ধুরা অপেক্ষা করছে কেক নিয়ে।

Pop Ads

তাদের সঙ্গে কেক কেটে সকালে একটু ঘুমিয়েছিলাম। একটু আগে উঠলাম। ইফতারের পর বন্ধুদের নিয়ে একটু ঘুরতে বের হব। হয়তো তখন সারপ্রাইজ হওয়ার মতো কিছু হবে।

প্রথম ছবি ‘কাজলরেখা’ মুক্তি পাবে ঈদে। নিশ্চয়ই খুশি?
আমি অনেক এক্সাইটেড। এককথায় আমি খুবই লাকি পারসন। একে তো ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি, তার ওপর আবার ঈদে মুক্তি—আমি তো রীতিমতো খুশিতে লাফাচ্ছি। আগেও দুবার ছবিটি মুক্তির ঘোষণা দিয়েছিলেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম ভাই, কিন্তু ফাইনালি যখন ঈদে মুক্তির ঘোষণা এলো বলতে পারেন, সেদিন আমি ঘুমাতে পারিনি।

ছবিটিতে যখন কাজ করেছিলেন তখন তো আজকের সাদিয়া আয়মান ছিলেন না। কিভাবে সুযোগ পেয়েছিলেন?
যখন ছবিটিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম তখন আমি সাদিয়া আয়মান হইনি, এটা সত্যি। একেবারে আনকোরা শিল্পী। কয়েকটা বিজ্ঞাপনচিত্র করেছি মাত্র। ছবির কাস্টিং ডিরেক্টর আমার সঙ্গে ফেসবুকে ছিলেন। কাজলরেখা চরিত্রটির জন্য সেলিম ভাই আগেও চার-পাঁচজনের অডিশন নিয়েছিলেন। কাউকে চূড়ান্ত করতে পারেননি। তখন কাস্টিং ডিরেক্টর আমার ছবি দেখান সেলিম ভাইকে। সেলিম ভাই আমাকে ডাকেন। প্রথম দিন পাণ্ডুলিপিটা দিয়ে কয়েকটা দৃশ্য পড়তে বললেন। আমি বুঝতে পারছিলাম না, দৃশ্যগুলো অভিনয় করে দেখাব নাকি শুধু সংলাপ পড়ব! সেলিম ভাই পড়তে বললেন। এরপর আমাকে আরেক দিন লুক টেস্ট দিতে বললেন। শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত করলেন। বিশ্বাস করেন, আমি স্বপ্নেও ভাবিনি চরিত্রটি আমার কপালে আছে। অনেকে এখন প্রশ্ন করেন, আজকের সাদিয়া আয়মান হলে ‘কাজলরেখা’র অপরিণত বয়সের চরিত্রটি করতাম কি না! আমি বলি, অবশ্যই করতাম। এটা যে কেউই করত।

ঈদে আরো এক ডজন ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা। এত এত ছবির ভিড়ে অভিষেক, ঝুঁকি মনে হচ্ছে না?
আমি ছোট মানুষ, এত সব হিসাব-নিকাশ বুঝি না। বেশি ছবি মুক্তি পেলে হল সংকট হতে পারে, সেটা জানি। তবে ‘কাজলরেখা’ এমন একটা ছবি, যেটা দর্শক দেখবেন। এটা গানের ছবি, প্রেমের ছবি—সর্বোপরি সুন্দর নির্মাণের ছবি। মৈমনসিংহ গীতিকা বাঙালির মনে একটা আলাদা জায়গা করে আছে। সেটি পর্দায় দেখার জন্য একবারের জন্য হলেও মানুষ হলে আসবেন বলে বিশ্বাস।

এবার ঈদে কত নাটকে দেখা যাবে আপনাকে?
ঈদের আমেজে সাত-আটটা নাটকের শুটিং করেছি। তা ছাড়া এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যত কাজ করেছি সেখান থেকেও ঈদে নাটক আসবে। বলতে পারেন সব মিলিয়ে ১৫-২০টি হতে পারে।

আপনার সঙ্গে খায়রুল বাসারের একটা জুটি গড়ে উঠেছিল। হঠাৎ আপনাদের আর সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না, কেন?
আমার ক্যারিয়ার মাত্র দেড় বছরের। বেশির ভাগ নাটক করেছি বাসার ভাইয়ের সঙ্গে। শুরুতে গল্পে ভিন্নতা থাকলেও একটা সময় দেখলাম একই ধরনের গল্প নিয়ে আসছেন নির্মাতারা। আমার দুষ্টামি, কান্না আর উচ্ছ্বলতাকে পুঁজি করে নাটক বানাতে চাচ্ছেন তাঁরা। নিজের ঠিক বিপরীত চরিত্রের নাটক বাছতে থাকলাম তখন। এই সময়ে মুশফিক আর ফারহান ভাই, জোভান ভাইসহ আরো অনেকের সঙ্গে কাজ করেছি। বাসার ভাই এটা নিয়ে একটু মন খারাপ করেছেন। আমার কারণে তাঁর বেশ কিছু কাজ হাতছাড়া হয়েছে। তবে ছয় মাসের বিরতি শেষে আবার আমরা একসঙ্গে কাজে ফিরেছি। আমাদের ভক্তদের জন্য সুখবর, ঈদে মাবরুর রশীদ বান্নাহ ভাইয়ের একটি নাটকে আমাদের দেখতে পাবেন দর্শক।

নতুন আর কোনো চলচ্চিত্র করছেন?
একটা চূড়ান্ত হয়েছে। আগস্টের শেষ সপ্তাহে শুটিং। প্রথমে ওয়েব ছবি হওয়ার কথা ছিল। পরে গল্পে পরিবর্তন এনে বড় পর্দার জন্যই চিত্রনাট্য করেছেন নির্মাতা। এখন এটা পরিপূর্ণ বাণিজ্যিক ছবি। শুটিংয়ের আগে নাম, নির্মাতা ও সহশিল্পীর নাম জানাব।ঈদে মুক্তি পাবে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’। টিভি পর্দার এই সময়ের জনপ্রিয় মুখ সাদিয়া আয়মানের প্রথম ছবি এটি। বেশ কয়েকটি ঈদ নাটকেও পাওয়া যাবে তাঁকে। অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।

শুভ জন্মদিন (গতকাল ছিল অভিনেত্রীর জন্মদিন)। কেমন কাটছে দিনটা?
আর বলবেন না! ভোরে ময়মনসিংহ থেকে বাসায় ফিরেছি। মাবরুর রশীদ বান্নাহ ভাইয়ের একটি নাটকের শুটিং ছিল। ঢাকায় ফেরার পর দেখি, আমার বন্ধুরা অপেক্ষা করছে কেক নিয়ে।

তাদের সঙ্গে কেক কেটে সকালে একটু ঘুমিয়েছিলাম। একটু আগে উঠলাম। ইফতারের পর বন্ধুদের নিয়ে একটু ঘুরতে বের হব। হয়তো তখন সারপ্রাইজ হওয়ার মতো কিছু হবে।

প্রথম ছবি ‘কাজলরেখা’ মুক্তি পাবে ঈদে। নিশ্চয়ই খুশি?
আমি অনেক এক্সাইটেড। এককথায় আমি খুবই লাকি পারসন। একে তো ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি, তার ওপর আবার ঈদে মুক্তি—আমি তো রীতিমতো খুশিতে লাফাচ্ছি। আগেও দুবার ছবিটি মুক্তির ঘোষণা দিয়েছিলেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম ভাই, কিন্তু ফাইনালি যখন ঈদে মুক্তির ঘোষণা এলো বলতে পারেন, সেদিন আমি ঘুমাতে পারিনি।

ছবিটিতে যখন কাজ করেছিলেন তখন তো আজকের সাদিয়া আয়মান ছিলেন না। কিভাবে সুযোগ পেয়েছিলেন?
যখন ছবিটিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম তখন আমি সাদিয়া আয়মান হইনি, এটা সত্যি। একেবারে আনকোরা শিল্পী। কয়েকটা বিজ্ঞাপনচিত্র করেছি মাত্র। ছবির কাস্টিং ডিরেক্টর আমার সঙ্গে ফেসবুকে ছিলেন। কাজলরেখা চরিত্রটির জন্য সেলিম ভাই আগেও চার-পাঁচজনের অডিশন নিয়েছিলেন। কাউকে চূড়ান্ত করতে পারেননি। তখন কাস্টিং ডিরেক্টর আমার ছবি দেখান সেলিম ভাইকে। সেলিম ভাই আমাকে ডাকেন। প্রথম দিন পাণ্ডুলিপিটা দিয়ে কয়েকটা দৃশ্য পড়তে বললেন। আমি বুঝতে পারছিলাম না, দৃশ্যগুলো অভিনয় করে দেখাব নাকি শুধু সংলাপ পড়ব! সেলিম ভাই পড়তে বললেন। এরপর আমাকে আরেক দিন লুক টেস্ট দিতে বললেন। শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত করলেন। বিশ্বাস করেন, আমি স্বপ্নেও ভাবিনি চরিত্রটি আমার কপালে আছে। অনেকে এখন প্রশ্ন করেন, আজকের সাদিয়া আয়মান হলে ‘কাজলরেখা’র অপরিণত বয়সের চরিত্রটি করতাম কি না! আমি বলি, অবশ্যই করতাম। এটা যে কেউই করত।

ঈদে আরো এক ডজন ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা। এত এত ছবির ভিড়ে অভিষেক, ঝুঁকি মনে হচ্ছে না?
আমি ছোট মানুষ, এত সব হিসাব-নিকাশ বুঝি না। বেশি ছবি মুক্তি পেলে হল সংকট হতে পারে, সেটা জানি। তবে ‘কাজলরেখা’ এমন একটা ছবি, যেটা দর্শক দেখবেন। এটা গানের ছবি, প্রেমের ছবি—সর্বোপরি সুন্দর নির্মাণের ছবি। মৈমনসিংহ গীতিকা বাঙালির মনে একটা আলাদা জায়গা করে আছে। সেটি পর্দায় দেখার জন্য একবারের জন্য হলেও মানুষ হলে আসবেন বলে বিশ্বাস।

এবার ঈদে কত নাটকে দেখা যাবে আপনাকে?
ঈদের আমেজে সাত-আটটা নাটকের শুটিং করেছি। তা ছাড়া এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যত কাজ করেছি সেখান থেকেও ঈদে নাটক আসবে। বলতে পারেন সব মিলিয়ে ১৫-২০টি হতে পারে।

আপনার সঙ্গে খায়রুল বাসারের একটা জুটি গড়ে উঠেছিল। হঠাৎ আপনাদের আর সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না, কেন?
আমার ক্যারিয়ার মাত্র দেড় বছরের। বেশির ভাগ নাটক করেছি বাসার ভাইয়ের সঙ্গে। শুরুতে গল্পে ভিন্নতা থাকলেও একটা সময় দেখলাম একই ধরনের গল্প নিয়ে আসছেন নির্মাতারা। আমার দুষ্টামি, কান্না আর উচ্ছ্বলতাকে পুঁজি করে নাটক বানাতে চাচ্ছেন তাঁরা। নিজের ঠিক বিপরীত চরিত্রের নাটক বাছতে থাকলাম তখন। এই সময়ে মুশফিক আর ফারহান ভাই, জোভান ভাইসহ আরো অনেকের সঙ্গে কাজ করেছি। বাসার ভাই এটা নিয়ে একটু মন খারাপ করেছেন। আমার কারণে তাঁর বেশ কিছু কাজ হাতছাড়া হয়েছে। তবে ছয় মাসের বিরতি শেষে আবার আমরা একসঙ্গে কাজে ফিরেছি। আমাদের ভক্তদের জন্য সুখবর, ঈদে মাবরুর রশীদ বান্নাহ ভাইয়ের একটি নাটকে আমাদের দেখতে পাবেন দর্শক।

নতুন আর কোনো চলচ্চিত্র করছেন?
একটা চূড়ান্ত হয়েছে। আগস্টের শেষ সপ্তাহে শুটিং। প্রথমে ওয়েব ছবি হওয়ার কথা ছিল। পরে গল্পে পরিবর্তন এনে বড় পর্দার জন্যই চিত্রনাট্য করেছেন নির্মাতা। এখন এটা পরিপূর্ণ বাণিজ্যিক ছবি। শুটিংয়ের আগে নাম, নির্মাতা ও সহশিল্পীর নাম জানাব।