ইসলামে সন্তান দত্তক নেয়ার বিধান

21
ইসলামে সন্তান দত্তক নেয়ার বিধান

পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় নেয়ামত সন্তান। আল্লাহ তাআলা যাকে চান তাকেই সন্তান দান করেন। পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে, যাদের সন্তান নেই। সন্তানের জন্য থাকে তাদের হাহাকার। তাই অন্যের সন্তান দত্তক নিয়ে সন্তানের শূণ্যস্থান পূরণ করতে চান। ইসলাম কী বলে সন্তান দত্তক নেয়ার বিষয়ে।
ইসলামে সন্তান দত্তক নেয়া জায়েজ আছে। ছেলে মেয়ে আল্লাহর বিশেষ এক নেআমত। তিনি যাকে ইচ্ছে দান করেন। যাকে ইচ্ছে বন্ধা রাখেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর রাজত্ব আল্লাহরই।

তিনি যা চান সৃষ্টি করেন। যাকে চান কন্যা দেন এবং যাকে চান পুত্র দেন। অথবা পুত্র ও কন্যা উভয় মিলিয়ে দেন। আবার যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান। (আশশূরা ৪৯-৫০)
সুতরাং যাকে আল্লাহ তাআলা ছেলে মেয়ে দান করেনি তার জন্য দত্তক নেয়া জায়েজ আছে। তবে এক্ষেত্রে কিছু নীতিমালা রয়েছে। দত্তক বাচ্চা আসল বাচ্চার মতো নয়। কারণ উভয়ের জন্য অনেক ক্ষেত্রে শরয়ি হুকুম আহকাম ভিন্ন।

Pop Ads

এজন্য শর্ত হলো, দত্তক সন্তানের আসল পিতা-মাতার দিকে তার বংশ সম্পর্ক বহাল রাখা। তার জন্ম সনদ, পরিচয় পত্র, ভোটার আইডি, শিক্ষা সনদ, বিবাহ নামা ইত্যাদিতে তার আসল মা-বাবার দিকে সম্পর্ক উল্লেখ করাও আবশ্যক।

আরো পড়ুন: সকালের যে ৫ আমলে সুরক্ষিত থাকবেন সারা দিন

যদি দত্তক লালনকারী মা-বাবার সাথে দত্তকের মাহরামের সম্পর্ক না থাকে, তথা বাচ্চা থাকাকালীন নির্দিষ্ট সময়ে দুধ পান না করিয়ে থাকে, তাহলে দত্তক প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তার সাথে উক্ত মা-বাবার পর্দা করা ফরজ।

শুধু লালনপালনের দ্বারা পর্দার বিধান রহিত হবে না। অবশ্যই যদি দত্তক লালনকারী হোক সে নিজে অথবা তার বোন বা মেয়ে ইত্যাদি তাকে দুধপানের নির্দিষ্ট সময়ে দুধ পান করিয়ে থাকে, তাহলে তাদের সাথে পর্দার বিধান রহিত হয়ে যাবে।

মানুষের মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া সম্পদ শরয়ী নিয়ম-কানুনের ভিত্তিতে তার মূল উত্তরাধিকারদের মাঝে বন্টন হয়। দত্তকের এতে কোন অংশ থাকবেনা। অবশ্যই লালনপালনকারী মাতা-পিতা চাইলে তার জন্য এক তৃতীয়াংশ সম্পদ ওসিয়ত করতে পারে। অথবা জীবিত অবস্থায় কিছু দিতে চাইলেও পারবে। (সুরা আহযাব ৪-৫, ফতোয়ায়ে শামি ৩-২১৩)