ঈদের ছুটি শেষে করোনার প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা, পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনার অভাব; এদিকে ডেঙ্গুর হাতছানি !

সুপ্রভাত বগুড়া (জাতীয়): দিন যত গড়াচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতিটাও যেন আরও নাজুক আকার ধারণ করছে। ঈদকে সামনে রেখে মানুষ মার্কেটমুখি হওয়ায় আগের তুলনায় অনেকটা আতঙ্ক বেড়েছে সবার মনেই। ধারণা করা হচ্ছে, জীবিকার তাগিদেই কয়েকদিনের মধ্যেই ঢাকামুখী হবে মানুষের ঢল।

ঢিলেঢালা লকডাউনের সঙ্গে মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে সংক্রমণের হার আগের সব রেকর্ড ছাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সামনের দিনগুলিতে বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা থাকায় বাড়বে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও। ঈদের ছুটির পর হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ার আশঙ্কা করা হলেও নেই পর্যাপ্ত প্রস্তুতি।

Pop Ads

করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীর সম্ভাব্য সংখ্যা বিবেচনায় অধিক সংখ্যক হাসপাতালকে এখনই প্রস্তুত রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। সঙ্কটাপন্ন রোগীদের জন্য অপেক্ষাকৃত বেশি সুযোগ সুবিধা থাকায় এই ক্ষেত্রে কর্পোরেট ও বেসরকারি হাসপাতালকে সরকারি তত্ত্বাবধানে আনার তাগিদ তাদের।

সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করে বাড়ি ফেরা মানুষের এবার ঢাকা ফেরার পালা। ইতোমধ্যেই পূর্ণ হওয়া কোভিড হাসপাতালগুলো বাড়তি রোগীর চাপ কতটা নিতে পারবে সে নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।

রিউমাটেলজিস্ট অধ্যাপক ডা. অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, ‘হাসপাতালগুলোকে বেশ চাপ সামলাতে হবে। তারমধ্যে একটা করোনা, ডেঙ্গু অথবা দুইটাতেই যারা আক্রান্ত।’ সংকট সমাধানে সরকারি তত্ত্বাবধানে বেসরকারি হাসপাতাল গুলোকে এখনই প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দিলেন রিউমাটেলজিস্ট অধ্যাপক ডা. অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক।

তিনি বলেন, ‘বড় বড় প্রাইভেট হাসপাতালগুলোকে করোনা চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে।’ এখন পর্যন্ত কোনো রোগী ভর্তির অনুমতি না পেলেও সর্বোচ্চ প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ।

আগামী এক থেকে দেড় সপ্তাহের মধ্যে করোনা ও ডেংগুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে এখনই রোগী ভেদে হাসপাতাল নির্ধারণ করে দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here