উপজেলা হিসেবে রুহিয়াকে দেখার আগ্রহে এলাকাবাসী

উপজেলা হিসেবে রুহিয়াকে দেখার আগ্রহে এলাকাবাসী

সজল আলী ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া থানাকে উপজেলায় বাস্তবায়নের আশায় বুক বেঁধেছে এলাকাবাসী। যেহেতু বর্তমান সরকার জনবান্ধন সরকার। আর এই সরকার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের উন্নয়নের ব্যাপারে বেশ সক্রিয় রয়েছে। যা রুহিয়া থানাবাসীদের উপজেলার আশাবাদী করে তুলেছে।

বর্তমানে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ২২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠর। যার মধ্যে ৬টি ইউনিয়ন রুহিয়া থানার অন্তর্ভুক্ত। আর এই ৬টি ইউনিয়নে রয়েছে মহাসড়ক, অসংখ্য পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বৃহৎ হাট-বাজার, বেশকিছু রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারী ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও রয়েছে উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় রেলস্টেশন, জেলার বৃহৎ খাদ্য গুদাম ও টাঙ্গন ব্যারেজে সেচ প্রকল্প। আর এই রুহিয়া থানা এলাকার রয়েছে অনেক গৌরবময় ইতিহাস।

Pop Ads

এখানে জন্মগ্রহণ করেছেন অনেক আলোকিত মানুষ। অথচ এলাকাটি পিছিয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন পরিসেবা ও সুযোগ-সুবিধা থেকে। তাই রুহিয়াকে উপজেলা রুপান্তরের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয় মনে করছে রুহিয়াবাসী। অবস্থানগত দিক থেকে জেলার মধ্যে বিশেষ সমৃদ্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ জনপদ রুহিয়া। কিন্তু যোগাযোগ ক্ষেত্রে রুহিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সদর উপজেলা দুরত্ব ২৫ কিলোমিটার।

অপরদিকে রুহিয়া থানা এলাকা থেকে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনেক দূরবর্তী হওয়ায় গুরুতর অসুস্থ রোগীকে নিয়ে হিমশিম খেতে হয় এলাকাবাসীকে। এছাড়াও “ রুহিয়া থেকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদ দূরবর্তী হওয়ায় সরকারি বিভিন্ন কাজ-কর্ম সংক্রান্ত যেমন-সরকারি বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন,উপজেলা সমাজসেবা সংক্রান্ত,ভূমি সেবা সংক্রান্ত,শিক্ষা ও কৃষি- মৎস্য চাষ পরামর্শ সংক্রান্ত, উপজেলা নির্বাচন অফিস সংক্রান্তসহ উপজেলা বিভিন্ন সেবা নেওয়ার জন্য দূরবর্তী উপজেলা সদরে যেতে হয়।

যা কিনা রুহিয়া থানাবাসীর জন্য অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পরেছে। এদিকে তৎকালীন রুহিয়া ইউনিয়ন আ’ লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ সাইফুল্লাহ্ জানান, ১৯৯৬সালের ২৪ মে মাসে রুহিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংসদ নির্বাচনী সভায় সে সময়ের বিরোধী নেত্রী এবং বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রুহিয়াকে উপজেলায় বাস্তবায়ন কথা দিয়েছিলেন।

আর এই আশায় রুহিয়াবাসি দল-মত-নির্বিশেষে নৌকা কে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করেন। কিন্তু তাদের সে আশা ভেঙ্গে পড়ে তৎকালীন ঠাকুরগাঁও জেলা আ’লীগের সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও ১ আসনের এমপি মরহুম খাদেমুল ইসলাম এর মৃত্যুতে। রুহিয়াবাসির সেই আশা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে রুহিয়ার কৃতিসন্তান বাংলাদেশ আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এমপি রমেশচন্দ্র সেন কে ১৯৯৭ সালে উপনির্বাচনে জয়যুক্ত করেন।

আর সেই থেকে রুহিয়াবাসি উপজেলার স্বপ্ন দেখেই চলছে। আমি আশাবাদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কখনো তার দেওয়া ওয়াদা বরখেলাপ করেন না। তাই তিনি রুহিয়াকে দ্রুত উপজেলা রুপান্তরের মধ্য দিয়ে রুহিয়াবাসিকে দেওয়ার তার কথা রাখবেন।