সুপ্রভাত বগুড়া ডেস্ক: করোনার পাশাপাশি এন্টিবডি বা মানবদেহে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা পরীক্ষার ওপর জোর দিচ্ছে অনেক দেশ। যা আগামীতে করোনার ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
তারা বলছেন, স্বল্প খরচে এ পরীক্ষার মাধ্যমে সংক্রমণ মুক্ত জনগোষ্ঠী চিহ্নিত করা সম্ভব। এদিকে, এন্টিবডি পরীক্ষার কিট ব্যবহারের অনুমোদন না দিলেও আমদানি ও উৎপদনের ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রনয়ন করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
দেশে জনসংখ্যার তুলনায় করোনা টেস্টে হয়নি বললেই চলে। চিকিৎসকদের মতে- লক্ষণ নেই এমন করোনা রোগীর সংখ্যাও বহু। সক্ষমতা না থাকায় জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ করোনা পরীক্ষার বাইরেই থেকে যাচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, দেশে এন্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পরীক্ষার মাধ্যমে স্বল্প মেয়াদে সংক্রমণ কমানো সম্ভব। ইতিমধ্যে ইউরোপ-আমেরিকাসহ অনেক দেশে করোনার পাশাপশি চলছে এন্টিবডি নির্ণয়ও।
করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে তার দেহে এন্টিবডির কার্যকরিতা। সাধারণত ছয় থেকে এক বছর কার্যকরী থাকলেও রোগটি নতুন হওয়ায় আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তবে, চীনা এক গবেষণা বলছে- সুস্থ হওয়ার তিন মাস পর্যন্ত দেহে থাকে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা। একইভাবে প্লাজমা প্রদানকারী ব্যক্তির এন্টিবডি দেখা দরকার বলে মনে করেন এই চিকিৎসক।
এদিকে, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অ্যান্টিবডি পরীক্ষার কিট আমদানি ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রনয়ণ করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন পেলেই এই কিট ব্যবহারের নিবন্ধন দেবে তারা।