রাতের অন্ধকারে ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে

40

নিজস্ব প্রতিবেদক: জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের সান্তাহার (মৈয়ম) গ্রামে গত মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে দুই বিঘা জমির আধা-পাকা ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ঘটনায় বুধবার ক্ষেতলাল থানায় জমির মালিক একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি।

জানা গেছে, উপজেলার সমন্তাহার পূর্বপাড়া গ্রামের সলাইমান এর ছেলে নূরনবী পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ওই জমি দীর্ঘদিন থেকে ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তুু দীর্ঘ ১০৭ বছর ধরে ভোগ দখলে থাকা ওই জমির মালিকানা দাবি করে একই গ্রামের মৃত অজির সাখিদারের ছেলে সিরাজুল ইসলাম ও আরো কয়েকজন এবং জবর দখলের চেষ্টা করে। পরে এ বিষয়ে নূরনবী আদালতে মামলা করেন এবং আদালত ওই জমিতে সিরাজুল ও তার শরীকদের প্রবেশ করতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এ বছরের গত জুলাই মাসে প্রসেডিং জারি করেন।

Pop Ads

এ বিষয়ে জমির মালিক নুরনবী বলেন, প্রায় ১০৭ বছর থেকে উপজেলার দক্ষিণ তাউসারা মৌজার মৈয়ম মাঠে ১ একর ৮০ শতাংশ ধানী জমি ভোগ দখল করে আসছি। জমির সি এস, এম আর আর ও আর এস খতিয়ান আছে। কিন্তু নতুন প্রিন্ট আর এস পর্চায় ভুল ক্রমে ১ একর ০৮ শতাংশ জমি রেকর্ড হয়েছে। আমরা রেকর্ড সংশোধনীর মামলা করেছি, তবে এখনো সংশোধন হয়নি। ভুলক্রমে ৭২ শতাংশ জমি কম রেকর্ড হওয়া জমি সিরাজুল ও তার শরীক নিজেদের দাবি করে জবর দখলের চেষ্টা করছিল। এ বিষয়ে আদালতে মামলা করলে মহামান্য আদালতে সিরাজুল ও তার শরীক কোনো প্রমাণাদি দেখাতে না পারায় আমাদের পক্ষে রায় দেন আদালত। আদালতের দেয়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিরাজুলসহ অন্যরা জোট হয়ে গত মঙ্গলবার ভোর রাতে আমার ওই জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।

এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে সিরাজুল ইসলামসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে জমির মালিক নুরনবী ক্ষেতলাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে ওই গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী সাঈদ শাহ (৭০) ও আলম হোসেন (৫০) বলেন, আমরা বুদ্ধির বয়স থেকে দেখে আসছি নুরনবীর বংশধর ওই জমিতে চাষাবাদ করে আসছে। গত বুধবার ভোরে নুরনবীর রোপন করা ওই জমির ধান সিরাজুলসহ আরো ২০-২২ জন লোক কেটে নিয়ে গেছে।

ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, ধান কাটার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং তদন্ত চলছে।