সারিয়াকান্দিতে হঠাৎ পাটের দরপতনে দিশেহারা কৃষক

সারিয়াকান্দিতে হঠাৎ পাটের দরপতনে দিশেহারা কৃষক

হারুনুর রশিদ,সারিয়াকান্দি(বগুড়া): বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে পাটের ব্যাপক দরপতন হয়েছে। এ কারনে উপজেলার পাট চাষীরা হতাশায় পড়েছেন। মৌসুমের শুরুতে পাটের দাম ছিলো ২৮’শ থেকে ৩১’শ টাকা মন পর্যন্ত। দর পতনের পর বর্তমানে সে পাটের দাম বাজারে সর্বোচ্চ ২১ ‘শ টাকা মন দরে কেনা বেচা চলছে। এদামে পাট বিক্রি করে চাষীদের উৎপাদন খরচেই উঠছে না। হঠাৎ পাটের এমন বাজারে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন পাট চাষিরা।

স্থানীয় পাট চাষীরা জানিয়েছেন, মৌসুমের শুরুতে পাটের দাম ভালো ছিলো। প্রতি মণ পাট বাজারে বিক্রি করা হয়েছে ২৮ ‘শ টাকা থেকে শুরু করে ৩১’শ টাকা মণ।এ দামে পাট বিক্রি করে ভালো লাভ থাকতো।কিন্তু হঠাৎ সপ্তাহ তিনেক পূর্ব থেকে দরপতন হওয়ায় আমরা হতাশায় পড়েছি। প্রতি বিঘায় পাট উৎপাদনে খরচ হয়েছিল ২১ হাজার টাকার মত। বর্তমানে পাটের দাম প্রতি মন ১৮’শ টাকা থেকে ২১ ‘শ টাকার মধ্য।

Pop Ads

এ দামে পাট বিক্রি করে আমাদের ঘরে খরচের টাকাই উঠছে না। সদর ইউনিয়নের চরবাটি গ্রামের পাট চাষী মোকলেছুর রহমান বলেন, আমি এবার ৬ বিঘা জমিতে পাট করেছিলাম। ফলন হয়েছিল ভালো। খরচ হয়েছিল প্রতি বিঘায় প্রায় ২১ হাজার টাকা। পাটের বাজার এভাবে পড়ে যাবে আমরা আগে ভাবতেই পারিনি।তাছাড়া বাজারে পাটের তেমন ক্রেতাও নেই। ব্যবসায়ীদের খুঁজে বের করে পাট বিক্রি করতে হয়।পাটের বাজরে দর পতনে আমরা হতাশ।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এবার চর এলাকা সহ উপজেলায় ৫ হাজার ৭’শ ১৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছিল। উৎপাদন হয়েছিল ১৮ হাজার ১৪৫ মেট্রিক টন পাট।কিন্তু দর পতনে সবাই চিন্তায় পড়েছেন। সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের পাট ব্যাবসায়ী বলেন, তোফায়েল হোসেন (বুদা)বলেন,এখন বাজারে পাট কেনার গ্রাহক নেই।দেশেতো সরকারীভাবে পাট কেনার তো কোনই কোন ব্যবস্হা নেই। একমাত্র পাটের মিল মালিকরা পাট কেনেন তাদের ইচ্ছে মতো।তারা কৃষকের লাভ -ক্ষতির দিকে তাকান না।

তিনি আরও বলেন, পাট মিল মালিকদের সিন্ডকেটের কারনে পাটের বাজারের আজ এ অবস্হা। উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হালিম বলেন,এ মৌসুমে চাষীরা অনেক চড়াই উৎরাইের মধ্য পাট চাষ করেছিলেন। কিন্তু বাজারে পাটের ক্রেতা ও দাম কমে যাওয়ায় আমরাও আশাহত।