সুপ্রভাত বগুড়া (বুলবুুল আহম্মেদ (বুলু): আইনী সেবা প্রত্যাশিদের ভরসাস্থল থানা। কিন্তু থানা মানেই ভুক্তভোগীদের হয়রানি ও টাকা আদায়ের কারখানা। টাকা ছাড়া থানায় কোনো কাজ-ই হয় না। এমন ধারণা জনসাধারণের। তবে জনসাধারণের সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মো. আবদুল মান্নান মিয়া। তিনি এ জেলায় যোগদানের পর থেকে জেলার ১১টি থানায় সেবা নিতে আসা লোকজন টাকা ছাড়াই নির্বিঘ্নে এখন সাধারণ ডায়েরি (জিডি), অভিযোগ ও মামলা লেখা বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারছেন।
তবে শতভাগ এখনও মুক্ত হয়নি। পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান এর সেবা প্রদানের সহযোগীতায় আইনী সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগী মানুষরা শান্তির নীড় খুঁজে পেয়েছে বলেও একটি অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। আরো জানা গেছে, আইনী সেবা জনগনের মনের আঙ্গিনায় পৌঁছাতে বিরতিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এসপি প্রকৌশলী মো. আবদুল মান্নান মিয়া। বিশ্বাস, সততা ও আন্তরিকতায় আইনী সেবার আস্থার কেন্দ্রর আঙ্গিনায় ঘোরপাক খাচ্ছেন এসপি আবদুল মান্নান মিয়া।
নওগাঁ জেলা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্ণধার এসপি প্রকৌশলী মো. আবদুল মান্নান মিয়া। কাজের স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতার জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, ন্যায়ের পক্ষে বন্ধু সুলভ আচরণের মানব প্রেমিক এসপি আবদুল মান্নান মিয়া। ইতিমধ্যে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মো. আবদুল মান্নান মিয়া নানান কাজে অনেক প্রশংসাসহ সম্মান ও সুনামও কুড়িয়েছেন। তার কারণে পুলিশ বাহিনীর সুনাম বৃদ্ধি পাচেছ এবং সাধারনের নিকট তার কদর দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুন্দর আগামীর জন্য সমাজে আইনের সেবা প্রদানে গণমূখী টেকসই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গড়ে তুলতে ইতি মধ্যে নানা কর্মসূচী মনের আয়নায় আঁকিয়েছেন পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া।
এছাড়া সংবাদ কর্মীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত সু-শৃংখল এবং গনমূখী সমাজ ব্যবস্থা নিশ্চিত কল্পে সকলের কার্যকরী সহযোগিতা কামনাও করেছেন তিনি। নওগাঁর অসৎ পুলিশ সদস্যদের শাস্তি, তাদের ঢেলে সাজানো, দুর্নতিমুক্ত সমাজ, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন ও মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্সে আনার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের আইকোন হিসেবে দিন-রাত কাজ করছেন জেলার এ পুলিশ সুপার। সুপার প্রকৌশলী মো. আবদুল মান্নান মিয়া এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার বাংলাদেশ পুলিশের আইকন এবং অসম্ভব ভাল মানুষও বটে।
এ জেলায় যোগদানের পর থেকে আইনী সেবায় মানুষের আস্থায় পরিণত হতে চলেছে। পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার আইনী সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীদের কাছে আস্থা, বিশ্বাস ও ভরসার স্থলে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে তার নেতৃত্বে আইনী সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে জেলার বিট পুলিশিং কার্যক্রম দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে করে সেবার মানও বৃদ্ধি পাচ্ছে। নওগাঁর পুলিশ সুপার পুলিশ বাহিনীর নানা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খল আইন-শৃঙ্খলাকে সাজানোর জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন।
তাঁর স্বপ্ন, সংগ্রাম, জ্ঞান আর সাধনার দ্বারা তিনি যখন যেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন তখন সেখানেই জনবান্ধব, গণমূখী ও জবাবদিহিতামূলক পুলিশী ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা ফিকির করে যাচ্ছেন বলেও একটি সূত্রে জানা গেছে। জন নিরাপত্তা বিধানে নওগাঁ জেলা পুলিশ দিবা নিশি কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানা গেছে। বিটিবি নিউজের অনুসন্ধানের আয়নায় জানা গেছে, সেবা নিতে আসা জনগণের অভিযোগ মনোযোগ ও আন্তরিকতার সাথে শুনে থাকেন।
সাধারণ ডায়েরি (জিডি), অভিযোগ ও মামলা লেখা বা অন্তর্ভুক্ত করার বিনিময়ে সেবা প্রার্থীদের কাছ থেকে কোনো ধরনের টাকা নেয়া যাবেনা মর্মে জেলা পুলিশ সুপারের কঠোর হুশিয়ারিও রয়েছে। তবে খুশি হয়ে কেহ টাকা দিলে সেগুলো গোপনে হাতে নিতে ভুল করেন না অনেকেই। পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মো. আবদুল মান্নান মিয়া ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তারের সততা, ন্যায়পরায়নতাসহ নানা কারণে জেলার অনেক অসৎ পুলিশ সদস্যদের হার্টবিট বেড়েও যায়। অনেকে বদলি হলে তদ্বির করে জেলায় আর থাকতে চায় না। তিনি হয়তো এ জেলা থেকে চলে গেলে আবারও হয়তোবা অসৎ অনেক পুলিশ সদস্যরা এ জেলায় আসার জন্য জোর তদ্বিরে মহাব্যস্ত থাকবে। কোন কোন পুলিশ সদস্যরা দীর্ঘদিন থাকলেও তারা কেন বদলি হয়না এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে।
জেলা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মো. আবদুল মান্নান মিয়া এ জেলায় যোগদানের পর থেকেই আইনী সেবা জনগনের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং সেবা প্রত্যাশিদের ন্যায়ের পক্ষে সহযোগিতা করার জন্য জেলা ও থানার সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। যার কারণে এখন দালালদের দৌরাত্ম অনেকাংশে কমে গেছে। দালালদের কাছ থেকে ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। প্রাথমিক অবস্থায় দালালদের সতর্ক করে থানায় তদবিরের জন্য না আসতে বলা হচ্ছে।
এজন্য সেবা প্রার্থীরা দালাল ছাড়াই নির্দ্বিধায় থানায় আসা-যাওয়া করতে পারছেন। তবে ইতিপূর্বে থানায় একটি ডায়েরি লিখতে লেখককে ১শ/২শ টাকা দিতে হতো। আবার ওই জিডি করতে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে দিতে হতো কমপক্ষে ১শ টাকা। এছাড়া অভিযোগ বা এজাহার লিখতে ১শ-২শ টাকা এবং মামলা রেকর্ড করাতে কমপক্ষে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা কিংবা তার চেয়ে বেশি টাকা গুনতে হতো ভুক্তভোগীদের। তবে দালাল ধরে এখন আর কাউকে থানায় বা জেলা পুলিশের কাছে আসতে হয়না। টাকা দিতে হয় না সেবা নিতে আসা জনসাধরণকে।
সেবা নিতে আসা অনেক ভুক্তভোগীরা বন্ধুর মতো সহযোগীতা পাচ্ছেন থানার ওসি’দের নিকট। আবার ব্যতিক্রমও হচ্ছে। নানা কারণে কেউ কেউ অসহায়ত্বের বুক ফাটা আর্তনাত নিয়ে ফলাফল শুন্য হাতে বাড়ি ফিরছেন। কোন কোন থানার ওসি থানায় আসা ভুক্তভোগীদের পুলিশী আইনী সেবা এবং বিভিন্ন পরামর্শসহ দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন দিবা-নিশি। এর পাশাপাশি তাদেরকে কোন দালাল বা পুলিশ সদস্যদের টাকা না দিতে বারনও করছেন তারা। থানায় সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীদের বার বার সতর্ক করে দিচ্ছেন তারা যেন কাউকেই টাকা-পায়সা না দেন। এতে করে স্বার্থবাদী, দালাল ও অসৎ পুলিশ সদস্যদের মন জ্বলে পুড়ে ছারখার হচ্ছে।