করোনা ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের উদাসীনতায় বিরক্ত দক্ষিণ এশীয়রা

করোনা ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের উদাসীনতায় বিরক্ত দক্ষিণ এশীয়রা । ছবি-সংগৃহীত

সুপ্রভাত বগুড়া (আন্তর্জাতিক): যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই ডালপালা মেলছে নানা সমীকরণ। এবারের ভোটে অশ্বেতাঙ্গ বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার ভোটাররা কোন দিকে ঝুঁকবেন তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সরকারি নথি অনুযায়ী দেশটিতে অশ্বেতাঙ্গ ভোটার প্রায় ১৩ শতাংশ, এর মধ্যে ভারতীয় ১৩ লাখ, পাকিস্তানি ১০ লাখ এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ভোটার ৬ লাখের কিছু বেশি। প্রথাগতভাবেই যুক্তরাষ্ট্রে থাকা দক্ষিণ এশীয়রা ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থক। ২০১২ সালের পিউ সার্ভের জরিপ বলছে, ৬৫ ভাগ ভারতীয়-আমেরিকান ডেমোক্রেটদের পক্ষে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে ৮৪ শতাংশ ভারতীয় ভোট দেন ডেমোক্রেট প্রার্থী বারাক ওবামাকে। জরিপ না হলেও বাংলাদেশি-আমেরিকানদের মনোভাবও তেমনই। তবে মোদি-ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সখ্যে সমীকরণের কিছুটা পরিবর্তন দেখছেন বিশ্লেষকেরা। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার অধ্যাপক কার্তিক রামাকৃষ্ণানের জরিপ বলছে, ৫৪ শতাংশ ভারতীয়-আমেরিকান জো বাইডেনের অনুসারি। আর ট্রাম্পে আস্থা ২৯ ভাগ ভারতীয়-আমেরিকানের।

Pop Ads

একইভাবে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের বড় অংশের সমর্থনও পাচ্ছে রিপাবলিকানরা। অভিবাসন প্রশ্নে ট্রাম্পের কড়া অবস্থান ও ফ্যামিলি রিইউনিয়ন বাতিলের ঘোষণায় ডেমোক্রেট-বিমুখ অভিবাসীরা। ওবামার সময়ে দক্ষিণ এশীয়দের জন্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে চাকরির যে সম্ভাবনা তৈরি হয় তাতেও রাশ টেনেছেন ট্রাম্প। বিশ্লেষণ বলছে, এসব কারণেও দক্ষিণ এশীয়দের মনোযোগ পাচ্ছে না ট্রাম্প প্রশাসন। সে কারণেই দক্ষিণ এশীয়দের কাছে টানতে বেশ তৎপর ডেমোক্রেট শিবির।

সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনে বড় কটি পদে রাখা হয়েছে কয়েকজন ভারতীয় বংশদ্ভুত আমেরিকানকে। এক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টর হতে পারেন জো বাইডেনের রানিং মেট কমলা হ্যারিস। বিশ্লেষকেরাও মনে করছেন, কমলার কারণেই ট্রাম্প-বিমুখেরা এবার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারেন। অন্যদিকে করোনা ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের উদাসীনতায় বিরক্ত দক্ষিণ এশীয়রা। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন নিয়ে অবস্থানের কারণেও মুসলিমদের একটি বড় অংশ ট্রাম্পের সঙ্গে থাকছেন না।