কালচারাল অফিসার রেদওয়ানার হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে বগুড়ায় মানববন্ধন

টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির জেলা কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে গতকাল বুধবার সকালে বগুড়া জেলার শিল্পীদের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনের মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। ছবি-প্রতিবেদক

সুপ্রভাত বগুড়া (নিজস্ব প্রতিবেদক): টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির জেলা কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বগুড়ায় মানববন্ধন করা হয়েছে। ঊুধবার (৩১মার্চ) বেলা ১১টার দিকে জেলার শিল্পীদের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনের এই মানববন্ধন করা হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য কবিরাজ তরুণ কুমার চক্রবর্তী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সিদ্দিকী, ইয়ূথ কয়্যার বগুড়ার সভাপতি আতিকুর রহমান মিঠু,

Pop Ads

বাংলাদেশ যাত্রা ফেডারেশন জেলা শাখার সভাপতি আব্দুর সাত্তার বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা শিল্পকলা একাডেমি বগুড়ার কালচারাল অফিসার মো. শাহাদৎ হোসেনসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রশিক্ষকবৃন্দ, সাংবাদিক এবং বগুড়া জেলার শিল্পীবৃন্দ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমান নারীবান্ধব সরকার নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মক্ষেত্রের সকল স্তরে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার এই সময়ে আমরা একজন সরকারি কর্মকর্তা নারী সহকর্মী তথা অভিজ্ঞ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিকে হারালাম। ৫দিনের মাথায় এক কন্যাশিশু হারালো তার মাকে। তার মৃত্যুতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো।

মানববন্ধনে উপস্থিত সকলে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান এবং হত্যাকাÐের শিকার খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামের আত্মার শান্তি কামনা করে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির জেলা কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম গত ২৭ মার্চ বিকাল প্রায় ৩ টার দিকে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালের কেবিনে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন। ২২ মার্চ তিনি কন্যা সন্তানের জন্মদিয়ে হাসপাতালের ১১ নম্বর কেবিনে অবস্থান করছিলেন।

ঘটনার পর থেকে তার স্বামী মো. দেলোয়ার হোসেন মিজান পলাতক রয়েছে। সিসি টিভি ফুটেজ দেখে মো. দেলোয়ার হোসেন মিজান কে আসামী করে নিহতের ছোট ভাই ২৭ মার্চ রাতে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।