কিডনির রোগ নিয়েও দিব্যি বেঁচে আছেন গ্রিন

16
কিডনির রোগ নিয়েও দিব্যি বেঁচে আছেন গ্রিন

সেই কৈশোরেই তাঁর জীবনের চাকা থেমে যাবে বলে ভাবা হয়েছিল। জন্মগতভাবেই কিডনির দীর্ঘস্থায়ী জটিলতা নিয়ে বেড়ে উঠতে থাকা ক্যামেরন গ্রিন ১২ বছরের বেশি বাঁচবেন না বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান এই অলরাউন্ডার ২৪ বছর বয়সেও দিব্যি বেঁচে আছেন। বেঁচেই শুধু নেই, চুটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও খেলে বেড়াচ্ছেন।

যদিও পার্থে আজ থেকে শুরু হওয়া অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্মের প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে একাদশে জায়গা হয়নি তাঁর।
এমনিতে মৃদুভাষী ও অন্তর্মুখী স্বভাবের গ্রিন এই দিনেই চ্যানেল সেভেনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রকাশ্যে আনলেন জন্ম থেকেই বয়ে বেড়ানো কিডনি রোগের কথা। যে বিষয়ে এমনকি তাঁর সতীর্থ এবং বন্ধুরাও সেভাবে অবগত ছিলেন না। নীরবে এই রোগ সামলেই নিজের উদ্দাম তারুণ্য পার করে দিতে থাকা গ্রিনের এখন নিজেকে ভাগ্যবানই মনে হয়, ‘আমি এটিকে নিজের সৌভাগ্যই বলবো যে একই পর্যায়ের দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ নিয়ে অন্য মানুষদের যতটা ভুগতে হয়, অতটা ভোগান্তির মধ্যে আমাকে পড়তে হয়নি।

Pop Ads

নিজের এই রোগটি কতটা গুরুতর পর্যায়ের, সেটিও জানাতে ভোলেননি তিনি, ‘দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের মোট পাঁচটি পর্যায়। প্রথম পর্যায়টি সবচেয়ে কম গুরুতর। আর পঞ্চম পর্যায়ে গেলে কিডনি প্রতিস্থাপন বা ডায়ালাইসিস ব্যবস্থায় যেতে হয়। আমি আছি দ্বিতীয় পর্যায়ে।

এখান থেকে ঠিকমতো নিজের যতœ-আত্তি না নিলে অবস্থা খারাপের দিকেই যেতে থাকবে।’ দ্বিতীয় পর্যায়ে তাঁর কিডনি কতখানি কার্যকর আছে, সে ধারণাও দিয়েছেন গ্রিন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে অন্যান্য স্বাভাবিক কিডনির মতো আমারটি রক্ত ফিল্টার করতে পারে না। বলতে পারেন, এই মুহূর্তে আমার কিডনি ৬০ পারসেন্ট কার্যকর। যেটি দ্বিতীয় পর্যায়ের মধ্যে পড়ে।’
তাঁর বাবা-মাকে জন্মের সময়ই ছেলের এই রোগের কথা জানানো হয়েছিল, ‘এই রোগটির কথা জন্মের সময়ই আমার বাবা-মাকে জানানো হয়।

রোগটি ধরা পড়েছিল মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় আল্ট্রাসাউন্ডের সময়। মা বি ট্রেসির গর্ভাবস্থার ১৯তম সপ্তাহে স্ক্যান করতে গিয়েই ধরা পড়ে এই জটিলতা। গ্রিনের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা বাবা গ্যারি জানিয়েছেন, তাঁদের ছেলের ১২ বছরের বেশি না বাঁচার ভয় নিয়েও লম্বা একটি সময় পার করে দিয়েছেন এই দম্পতি।