খালেদার স্থায়ী মুক্তি চেয়ে আবারো সরকারের কাছে আবেদন পরিবারের

খালেদার স্থায়ী মুক্তি চেয়ে আবারো সরকারের কাছে আবেদন পরিবারের। ফাইল-ছবি

সুপ্রভাত বগুড়া (প্রচ্ছদ): বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবারো আবেদন করেছে তার পরিবার। শারীরিক অসুস্থতায় সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে স্থায়ী মুক্তির জন্য গত মঙ্গলবার দুপুরে এ সংক্রান্ত একটি আবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে হস্তান্তর করা হয়। খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষে আবেদন পত্রে তার ছোট ভাই শামীম ইসকান্দার স্বাক্ষর করেন।

আবেদনে খালেদা জিয়ার সহোদর ‘ভাই’ হিসেবে শামীম ইসকান্দার নিজেকে উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে আজ সন্ধ্যায় স্বরষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গত সপ্তাহে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। এ নিয়ে আইনী মতামত জানতে আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিলে এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। এর আগে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেয় সরকার। যার   মেয়াদ শেষ হবে  সেপ্টেম্বরে।

Pop Ads

এর আগেই সরকারের কাছে স্থায়ী মুক্তির জন্য আবেদন করে খালেদা জিয়ার পরিবার। ওই সময় বিদেশে চিকিৎসার জন্য মুক্তি  চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আইনমন্ত্রীর কাছেও চিঠি দেয় বেগম জিয়ার পরিবার। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করেন খালেদা জিয়ার ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আবেদনে বলা হয়েছে, করোনাকালীন দুর্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়নি।

পাশাপাশি তার সুচিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য শারীরিক অসুস্থতায় কোনো পরীক্ষাও করা সম্ভব হয়নি। আবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে যাওয়া অফিস-আদালতসহ গণপরিবহন ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে আসতে শুরু করেছে। এতে অসুস্থ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও এ সংক্রান্ত শারিরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

আবেদনে তার বয়স, শারীরিক অসুস্থতা ও মানবিক বিবেচনায় খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির জন্য আবেদন করা হল। প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here