জীবনকে গোছানো ও পরিপাটি করতে যে অভ্যাস করতে পারেন

7
জীবনকে গোছানো ও পরিপাটি করতে যে অভ্যাস করতে পারেন

গোছানো পরিপাটি জীবন কার না চাওয়া! অগোছালো জীবনযাপন একদিকে যেমন কাজে ব্যাঘাত ঘটায় অন্যদিকে মানসিক অশান্তিরও কারন হয়ে দাঁড়ায়। অথচ চাইলেই ছোট কিছু কৌশলেই যাপিত জীবনটাকে ছকে এনে গোছানো পরিপাটি করে তোলা সম্ভব। এক্ষেত্রে ছোট কিছু পরিবর্তনেই আপনিও হয়ে উঠতে পারেন পরিপাটি স্বভাবের একজন মানুষ। জেনে নিন এমন ৬টি অভ্যাস নিয়ে, যা আপনাকে দৈনন্দিন জীবনে গোছানো ও পরিপাটি করে তুলতে অন্যদের তুলনায় অনেক এগিয়ে রাখবে-

গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো রাখুন নির্দিষ্ট স্থানে
প্রতিদিনের ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যেমন চাবি, মানিব্যাগ, ঘড়ি ইত্যাদি নির্দিষ্ট স্থানে রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

Pop Ads

যাতে প্রয়োজনের সময় হাতের কাছে পাওয়া যায়। অন্যথায় প্রয়োজনের সময় এগুলো খুঁজতে বাড়তি সময় অপচয় হবে। যা আপনাকে পিছিয়ে ফেলবে অন্যদের তুলনায়।
প্রতিদিনের কাজের তালিকা তৈরি
প্রতিদিনের কাজের তালিকা তৈরি করুন।

অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কোন কাজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কোন কাজ কম গুরুত্বপূর্ণ তার নোট রাখুন। এই কাজটি আপনাকে তাৎক্ষনিক যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
প্রাত্যাহিক রুটিন
দিনের কোন সময় কিভাবে, কোথায় ব্যয় করবেন তার এক রুটিন তৈরি করুন। রুটিন অনুযায়ী কাজ সম্পাদন করতে পারলে যেকোন কাজে আত্মতৃপ্তি আসে এবং পরবর্তী লক্ষ্যে এগিয়ে থাকবেন অন্যদের তুলনায়।

পরেরদিনের পরিধেয় বস্ত্র আজকেই গুছিয়ে রাখুন
পরেরদিন কাজে বা অন্যকোথাও যাওয়ার সময় কি পরব না পরব তা আগের দিন গুছিয়ে রাখলে স্বল্প সময়ের মধ্যে রেডি হয়ে পরবর্তী গন্তব্যে পৌঁছানো যায়।

খাদ্যতালিকা তৈরি করুন
প্রতিদিন খাবার তালিকায় কি কি থাকবে তা আগে থেকে ঠিক করুন। এতে সে অনুযায়ী বাজার করলে কাজ এগিয়ে যাবে অনেকাংশে। পাশাপাশি প্রতিদিন এই তলিকা আপডেট করুন প্রতিদিনের চাহিদা অনুযায়ী।

দিনের কাজ দিনেই সারুন
অলসতার কারনে অনেকেই প্রতিদিনের ব্যবহৃত থালা বাসন, কাপড় চোপড় কিংবা প্রাত্যাহিক নানা কাজের কিছু না কিছু পরের দিনের জন্য রেখে দেন।

যা একদমই অনুচিত। এতে পরের দিনের একটি কাজ বেড়ে যায়। তাই দৈনন্দিন জীবনে এগিয়ে থাকতে দিনের কাজ দিনেই শেষ করুন।